দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নিজেদের জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে আজ রোববার (৭ জানুয়ারি) ভোট দিয়েছে চট্টগ্রামের মানুষ।
যাদের পক্ষে তারা রায় দেবেন, আগামী পাঁচ বছর তাদের হাতেই থাকবে দেশের শাসনদণ্ড। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলেছে।
শীতের সকালের শুরুতে কেন্দ্রের সামনে উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম দেখা গেলেও। বেলা বাড়লে উপস্থিতি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা।
সকাল ৮টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের মনসা এলাকায় পূর্ব আশরাফিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে পুরুষ ভোটারদের লাইন দেখা যায়। তবে ওই কেন্দ্রে নারী ভোটাররা তখনও মাত্র আসতে শুরু করেন।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মিজানুল হাসান জানান, ১০টি বুথে মোট ভোটার ৫ হাজার ১০৬ জন, মধ্যে নারী ভোটার ২ হাজার ৪৭৩ জন।
এই কেন্দ্রে নৌকা, চেয়ার, মোমবাতি ও নোঙ্গর প্রতীকের এজেন্ট থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর ঈগল প্রতীকের এজেন্ট ছিল না।
সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরুর পর চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের পশ্চিম গহিরা ইউনুচ সুফিয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দেখা যায় ভোট দিতে এসেছেন কয়েকজন। তারা লাইনেও দাঁড়িয়েছেন।
এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার নিক্সন চৌধুরী জানান, “কেন্দ্রটিতে ৭টি বুথে মোট ভোটার ৩ হাজার ৩৬৬ জন। সব প্রার্থীরই এজেন্ট আছে। ভোটাররা আসতে শুরু করেছেন।”
নগরীর আন্দরকিল্লায় চট্টগ্রাম-৯ আসনের মুসলিম এডুকেশন সোসাইটি (এমইএস) স্কুল কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নারী ও পুরুষ ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়।
চট্টগ্রামের সব আসন মিলিয়ে মোট ভোট কেন্দ্র ২ হাজার ২৩টি এবং ভোট গ্রহণ কক্ষের সংখ্যা ১৩ হাজার ৭৩২টি। চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে এবার মোট ভোটার ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৩৯৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৯০ জন; নারী ভোটার ৩০ লাখ ২৪ হাজার ৭৫১ জন; এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৫৬ জন।