জনগণকে জোর করে ভয় দেখিয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধ্য করা অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া বলে মন্তব্য করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোট কর্তৃক প্রহসনের একতরফা নির্বাচন আয়োজন বন্ধ, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ, সব দলের অংশগ্রহণে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাম জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদের (মার্কসবাদী) নেতা জয়দ্বীপ ভট্টাচার্য, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী। সমাবেশ পরিচালনা করেন বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদক নজরুল ইসলাম।
সমাবেশে নেতারা বলেন, দেশে একটি কলঙ্কজনক নির্বাচন হতে যাচ্ছে, ‘আমি আর আমিই’ এর। নির্বাচন কমিশন ওদের আইনি সিল দেবে। এই নির্বাচনে জনগণের কোনো আগ্রহ বা অংশগ্রহণ নেই। এ অবস্থা বহাল রেখে নির্বাচন হলে দেশের ইতিহাসে আরেকটি কালো অধ্যায়ের সূচনা হবে। তাই ৭ জানুয়ারির তামাশার নির্বাচন বাতিল করে, সংসদ ভেঙে দিয়ে সব দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন ও নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার উদ্যোগ নিতে হবে।
তারা আরও বলেন, দেশে ভোটাধিকার, গণতন্ত্র ব্যাহত হলে কর্তৃত্ববাদী স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের ধারা সম্প্রসারিত হবে। সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী শক্তির অপতৎপরতা বাড়বে। দেশ আরও গভীর সংকটে পড়বে। এর দায় নির্বাচন কমিশন ও সরকারকেই নিতে হবে।
সরকার এসব কথা উপেক্ষা করে নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাইলে, ভোট কেন্দ্রে না যেয়ে ভোট বর্জনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন ও ডামি নির্বাচনের বিরুদ্ধে গণরায় দেওয়ার জন্য জনগণের প্রতি বক্তারা আহ্বান জানান।
তারা বলেন, ভোট দেওয়া কিংবা ভোট বর্জনের অধিকার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার। সরকার দলীয় নেতারা ভোট কেন্দ্রে না গেলে সামাজিক সুরক্ষা কার্ড বাতিলের হুমকি দিচ্ছে। জোর করে ভয় দেখিয়ে ভোটকেন্দ্রে নেওয়া অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক। যারা এটা করবেন তাদের একসময় জনগণ আইনের মুখোমুখি দাঁড় করাবে।