স্যার জিম র্যাটক্লিফ ক্রিসমাসের আগের দিন হুট করে খবরের শিরোনামে। ধুঁকতে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ২৫ শতাংশ মালিকানা কিনে নিয়েছেন কেমিক্যাল কোম্পানি আইএনইওস-এর চেয়ারম্যান। নাটকীয় ও শ্বাসরুদ্ধকর জয় শুরু হলো রেড ডেভিলদের নতুন অধ্যায়। দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও ৩-২ এ জিতেছে তারা।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বক্সিং ডেতে অ্যাস্টন ভিলাকে স্বাগত জানায় ম্যানইউ। হাফটাইমের আগে দুই গোল খেয়ে বসে তারা। র্যাটক্লিফের আইএনইওএস স্পোর্টের স্পোর্টিং ডিরেক্টর ডেভিড ব্রেইলসফোর্ড স্টেডিয়ামের ডিরেক্টরদের সিটে বসে অন্যরকম অভিজ্ঞতা নিলেন। ২১তম মিনিটে লম্বা ফ্রি কিক থেকে দুর্দান্ত গোল করেন জন ম্যাকগিন। পাঁচ মিনিট পর লিয়েন্ডার ডেনডোনকার গোলমুখের খুব কাছ থেকে জাল কাঁপান। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ভিলা। সঙ্গে সঙ্গে অতিথি ভক্তরা গাইতে থাকেন, ‘ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের পতন হচ্ছে’। ম্যানইউ কোচ এরিক টেন হ্যাগকে উদ্দেশ্য করেও বলতে থাকেন, ‘সকালেই তুমি বরখাস্ত হচ্ছো’।
নবম লিগ ম্যাচ হারের শঙ্কায় পড়া ম্যানইউকে দুয়ো শুনতে হয়েছে নিজ ক্লাব সমর্থকদের কাছ থেকেও। সেই তারাই ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বাসে ভেসেছে। মূলত গল্প বদলে যেতে থাকে দ্বিতীয়ার্ধে। শুরুতেই মার্কাস র্যাশফোর্ডের চতুর পাসে ভিলার জাল কাঁপান আলেহান্দ্রো গারনাচো। কিন্তু আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের গোলটি সমতা ফেরাতে পারেনি, অফসাইডে ছিলেন তিনি। ভিএআরে গোলটি বাতিল হয়।
তবে আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে ম্যানইউ। ভিলার চারটির বিপরীতে তারা লক্ষ্যে সাতটি শট নেয় এবং শেষ আধঘণ্টায় পুরস্কার পায়। ৫৯তম মিনিটে বক্সের সেন্টার থেকে শক্তিশালী শটে গারনাচোই ব্যবধান কমান। ব্রুনো ফের্নান্দেসের সঙ্গে বল অদলবদল করে ৭১ মিনিটে সমতা ফেরান তিনি।
ম্যানইউ অবিশ্বাস্য জয়ের মুখ দেখে আটালান্টা থেকে আগস্টে যোগ দেওয়া রাসমাস হয়লুন্দের প্রথম লিগ গোলে। চার চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচে পাঁচ গোল করলেও লিগের গোলখরায় তিনি ছিলেন প্রশ্নবিদ্ধ। মঙ্গলবার তিনি জবাব দিলেন। অবশেষে ১০২৭ মিনিটের অপেক্ষার অবসান ঘটালেন হয়লুন্দ। দুয়ো দেওয়া সমর্থকদের কাছ থেকে ম্যানইউ পায় অভিবাদন।
গারনাচো বলেছেন, ‘দারুণ অনুভূতি। আমরা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আমরা ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েছিলাম, কিন্তু হাল ছাড়িনি। দলের কাছ থেকে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন।’
১৯ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে উঠে গেলো ম্যানইউ। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১১ ম্যাচে প্রথম হারে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ভিলা।