উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন তার দেশের নতুন গুপ্তচর উপগ্রহ দ্বারা দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী এবং মার্কিন সামরিক ঘাঁটি থাকা শহরগুলোসহ ‘প্রধান লক্ষ্য অঞ্চলের’ তোলা ছবি পর্যালোচনা করেছেন। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়া শনিবার এ কথা জানিয়েছে।
গত সপ্তাহে পিয়ংইয়ং সফলভাবে একটি সামরিক গুপ্তচর উপগ্রহ কক্ষপথে স্থাপন করেছে, তবে দক্ষিণ কোরিয়া বলছে যে উত্তরের দাবি অনুযায়ী স্যাটেলাইটটি কাজ করছে কি না তা নির্ধারণের সময় এখনও আসেনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, গোয়েন্দা স্যাটেলাইট সফলভাবে মহাকাশে স্থাপন করতে পারলে তা দক্ষিণ কোরিয়াসহ যেকোনো সামরিক সংঘাতের বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ক্ষমতা উন্নত করবে।
মঙ্গলবার ম্যালিগ্যয়ং-১ নামের স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পিয়ংইয়ং দাবি করে যে, তাদের নেতা কিম ওই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে গুয়ামে মার্কিন সামরিক ঘাঁটির ছবি দেখছেন।
কোরিয়ান উপদ্বীপের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় স্যাটেলাইটটি যেসব ছবি তুলেছে কিম শুক্রবার যেসব ছবি পর্যালোচনা করেছেন বলে জানিয়েছে সরকারি কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি।
এদিকে উত্তর কোরিয়ার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর জাপানের ওকিনাওয়া জেলায় বাসিন্দাদের সতর্ক করে অবিলম্বে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছিল। প্রায় ৩০ মিনিট পরে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার সেই আদেশ তুলে নেয় জাপান।
অন্যদিকে হোয়াইট হাউস উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপটিকে জাতিসংঘের একাধিক রেজুলেশনের ‘নির্লজ্জ লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছে। উত্তর কোরিয়া এর আগে চলতি বছর দুইবার সামরিক উপগ্রহ কক্ষপথে স্থাপনের চেষ্টা করে এবং ওই দুবারই ব্যর্থ হয়েছিল। সর্বশেষ এই প্রচেষ্টাটি ছিল পিয়ংইয়ংয়ের তৃতীয় প্রচেষ্টা।
সূত্র : এএফপি।