অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে প্রথমবারের মতো ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে বন্দী বিনিময় ও যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। কাতারের মধ্যস্থতায় প্রথম দিনে ৩৯ জন কারাবন্দীকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। অন্যদিকে ১৩ জন ইসরায়েলিসহ মোট ২৪ জনকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।
স্থানীয় সময় শুক্রবার কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরা।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরা।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে চারদিনের এ যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে কারাবন্দীদের মুক্তি দেয়া হয়। এসব জিম্মিকে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রেডক্রসের হাতে তুলে দেয়া হয়।
৩৯ ফিলিস্তিনি নাগরিকের মধ্যে ২৪ জন নারী ও ১৫ জন তরুণ রয়েছেন। অধিকৃত পশ্চিম তীরের বেইতুনিয়া চেকপয়েন্ট দিয়ে তাদের মুক্তি দেয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামাসের মুক্তি দেয়া ২৪ জনের মধ্যে ১৩ জন ইসরায়েলি, তাদের মধ্যে তাদের মধ্যে ৪ শিশু, তাদের ৪ জন মা এবং ৫ জন বয়স্ক নারী রয়েছেন। এ ছাড়া ১০ জন থাইল্যান্ড এবং ১ জন ফিলিপাইনের নাগরিক।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া চারদিনের যুদ্ধবিরতিতে মোট ৫০ জন ইসরায়েলিকে মুক্তি দেবে হামাস। অন্যদিকে ১৫০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। এছাড়াও বন্দি মুক্তি নিয়ে আরও একটি প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। অতিরিক্ত ১০ জন বন্দিকে মুক্তি দিলে তার বিনিময়ে গাজায় আরও একদিন যুদ্ধবিরতি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
উল্লেখ্য, গেলো ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারপর থেকেই গাজায় বিমান ও স্থল হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। গেলো দেড়মাস ধরে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ১৪ হাজার ৮০০ জন ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ১০ হাজারের বেশি শিশু ও নারী রয়েছেন। এছাড়া কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।