গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক হাসান বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর ইমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। যারা ইমানের এই পরীক্ষায় পাশ করবেন তারা ইতিহাস হবেন, আর যারা সরকারের সঙ্গে আঁতাত করবেন তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন।
বৃহস্পতিবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিলটি কালভার্ট রোড থেকে শুরু করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টন হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে পল্টন মোড়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে কিছুক্ষণ পল্টন মোড় অবরোধ করে রাখেন গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ মিছিলে শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।
তিনি বলেন, এই সরকার এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের এমপি-মন্ত্রিত্বের অফার দিচ্ছে নির্বাচনে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, গণঅধিকার পরিষদ শেখ হাসিনার অধীনে কোন পাতানো নির্বাচনে যাবে না। যতই চাপ আসুক, যতই নির্যাতন আসুক আমরা প্রয়োজনে কেরানীগঞ্জ কারাগারে যাবো, তবুও এই সরকারের পাতানো ফাঁদে পা দিবো না।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মাহবুব হোসেন বলেন, সরকার এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের কেনা-বেচা শুরু করেছে।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার এখন পাগল হয়ে গেছে ক্ষমতায় থাকার জন্যে। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে না কি বলেছেন, বিএনপি জামায়াত ১০/১৫ বছর পরে আর থাকবে না। আমরা বলতে চাই, আপনার আ.লীগ আর কয় মাস টিকে সেটা নিয়ে ভাবেন। বিএনপি জামায়াত এবং গণঅধিকার পরিষদ ঠিকই টিকে থাকবে।’
গণঅধিকার পরিষদের নেতা মোজাম্মেল মিয়াজির সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন- গণনেতা কর্নেল অব. মিয়া মসিউজ্জামান, মাহবুব জনি, অ্যাডভোকেট শিরিন আকতার, ইসমাইল আহমেদ বন্ধন, জিয়াউর রহমান, আরিফ বিল্লাহ, মাহবুবুল হক শামীম, ইমাম উদ্দিন, আব্দুল্লাহ, ফায়সাল, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক সাকিব হোসাইন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মুনতাসীর মাহমুদ প্রমুখ।