গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় ৮০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত লোকজনের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত জাতিসংঘের একটি স্কুলও রয়েছে বলে শনিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, ওই শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘ পরিচালিত আল ফাখুরা স্কুলে হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, ছয় সপ্তাহ ধরে ধরা এই সংঘাতে গাজা উপত্যকার ভেতরে প্রায় ১৬ লাখ মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে। সেখানে শিশু, নারী ও পুরুষ নিহত হওয়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস।
জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে শনিবার অপর একটি হামলায় একই পরিবারের ৩২ জন নিহত হয়েছে। হামাসের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ১৯ জনই শিশু।
জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে অবস্থিত জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলটিতে কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনির আবাসস্থল। গত ১৫ নভেম্বর আল-শিফা হাসপাতালের ভেতরে অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। রোগী, চিকিৎসাকর্মী ও আশ্রয় নেওয়া মিলিয়ে ৭ হাজার লোক হাসপাতালটিতে আটকা পড়েছে।
মিশর থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জ্বালানি সরবরাহ করা হয়েছে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শনিবার গাজায় জ্বালানি সরবরাহ করেছে মিশর। এদিন সংঘাতপূর্ণ গাজায় এক লাখ ২৩ হাজার লিটার (৩২ হাজার ৪৯৩ গ্যালন) জ্বালানি সরবরাহ করা হয়।
এর আগে ইসরায়েলের যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রিসভা যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধের পর প্রতি দুই দিন পর পর গাজা উপত্যকায় এক লাখ ৪০ হাজার (৩৭ হাজার গ্যালন) জ্বালানি সরবরাহের অনুমতি দেয়। এরপরেই মিশর থেকে সেখানে জ্বালানি সরবরাহ করা হলো।