ঢাকারবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গ্রেফতার-দমন-পীড়ন করা হলো আ.লীগের একমাত্র অবলম্বন: জোনায়েদ সাকি

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
নভেম্বর ১৯, ২০২৩ ৫:৩৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

গ্রেফতার-দমন-পীড়ন আওয়ামী লীগের একমাত্র অবলম্বন বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘আরেকটা একতরফা নির্বাচন করতে পারলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কূটনৈতিক সংকটে পড়বে।’

রবিবার (১৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ‘একতরফ’ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদের দেশব্যাপী হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করে গণতন্ত্র মঞ্চ।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে, কিন্তু পুলিশ-র‍্যাব-বিজিবির ছায়াতলে তাদের থাকতে হয়। একা মাঠে নামার সাহস করে না। এভাবেই দেশটাকে ধ্বংসের দিকে নিচ্ছে তারা।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে তারা যদি আরেকটা একতরফা নির্বাচন করতে পারে তাহলে, দেশে রাজনৈতিক সংকট, দেশের মানুষের অধিকার বন্ধ করে দেবে। তাদের আর ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যায় না। কেবল দেশের মানুষের অধিকার আর অর্থনৈতিক বিপর্যয় করছে তা নয়, তারা আরেকটা একতরফা নির্বাচন করতে পারলে দেশ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কূটনৈতিক সংকটে পড়বে। দেশ নানা ধরনের বিপদের মধ্যে পড়বে।’

তিনি বলেন, ‘গদি টিকিয়ে রাখতে বর্তমান সরকার দেশের মানুষ এবং দেশের অস্তিত্ব নিয়ে বাজি ধরছে। মানুষ তাই একতরফা তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে।’

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে চায় মন্তব্য করে সাকি বলেন, ‘এ কারণেই তারা আজগুবি যুক্তি মানুষের সামনে হাজির করছে। সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হলো, নিজেরা সন্ত্রাস করে, নিজেদের এজেন্ট দিয়ে সন্ত্রাস করিয়ে, পুলিশ মেরে, সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে, প্রধান বিচারপতির বাড়ির সামনে হামলা করে পুরো দোষটা বিরোধী দলের ওপর চাপিয়ে দিল। সর্বাত্মক দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। প্রতিদিন গণতন্ত্র মঞ্চ, বিএনপিসহ সব বিরোধীদলের শত শত নেতাদের গ্রেফতার করছে। এটাই হলো তাদের একমাত্র অবলম্বন।’

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘রাজনৈতিক সংকট রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করতে চাই। আলাপ-আলোচনা করে রাজনৈতিক সংকটের সমাধান দেখতে চাই। এই সরকার পদত্যাগ করে কীভাবে নির্বাচনকালীন সরকার হবে– এ বিষয়ে যদি সরকারি দল নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাহলে বিরোধী দল আলোচনায় অংশগ্রহণ করবে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের নামে আরেকটা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো তামাশা এ দেশের মানুষ কোনোভাবেই হতে দেবে না। সময় এখনও কয়েক দিন আছে। আলোচনা করুন, সিদ্ধান্ত নিন। সোজাপথে হাঁটলে সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং আপনাদের বিদায় নেওয়ার সুযোগ আছে।’ এ সময় নির্বাচনী তফসিল স্থগিত করে, সব বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নিঃশর্তভাবে মুক্তি দিয়ে, হাজার হাজার হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানান তিনি।

সমাবেশে আরও ছিলেন– জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজুসহ গণতন্ত্র মঞ্চের অন্য নেতারা।