গাজা শিশুদের কবরস্থানে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। সোমবার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গাজায় মৃত্যুর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে জানানোর পর এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। সেই সাথে পরিস্থিতি বিবেচনায় যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার ওপর আরও জোর দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
গুতেরেস বলেন, গাজা শিশুদের কবরস্থানে পরিণত হচ্ছে। প্রতিদিন হতাহতের ঘটনা ঘটছে। নিহতদের মধ্যে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) ৮৯ জন। সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ কর্মী নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের ১৮টি সংস্থা এর আগেই দাবি জানিয়েছে, দ্রুত যুদ্ধবিরতি দরকার, এক মাস পার হয়ে গেছে, এই আগ্রাসন এখনই বন্ধ হওয়া উচিত।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় অন্তত ১০ হাজার ২২ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে শিশুর সংখ্যা ৪১০৪।
গুতেরেস সাংবাদিকদের বলেন, ইসরায়েলের সেনারা বেসামরিক নাগরিক, হাসপাতাল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ আশ্রয়কেন্দ্রেও ক্রমাগত হামলা চালাচ্ছে, কেউ নিরাপদ নয়। ইসরায়েল এবং হামাস যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক চাপকেও প্রত্যাখ্যান করেছে। ইসরায়েল বলেছে, জিম্মিদের প্রথমে মুক্তি দেওয়া উচিত, অন্যদিকে হামাস বলেছে ইসরায়েলি আগ্রাসন চলাকালীন তারা জিম্মিদের মুক্তি দেবে না। এই পরিস্থিতিতে জিম্মিদের দ্রুত মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন গুতেরেস।
ইসরায়েল দাবি করছ, গত ২৭ অক্টোবর গাজায় সম্প্রসারিত স্থল অভিযান শুরু করার পর থেকে ৩১ সেনা নিহত হয়েছে। শুধু তাই না, হামাস বিদ্রোহীরা ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের সাথে হাসপাতালে ছদ্মবেশে আছে। এদিকে এ দাবির অভিযোগে হামাাস বলছে, হাসপাতালের ঘটনাটি পুরোপুরি মিথ্যা, জাতিসংঘের উচিত যাচাই করা।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো অভিযোগ করছে, হাসপাতালগুলোতে আহতদের জায়গা সংকুলান হচ্ছে না, ত্রাণ বিতরণের সাথে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি প্রয়োজনের আগেই শেষ হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপে জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেছেন, সেই সাথে ইসরায়েলের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।