ঢাকাবৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

টায়ার্ড হয়ে গেছে বিএনপি

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
নভেম্বর ৪, ২০২৩ ২:২৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি’র কিছু ভাড়া করা লোক আছে, তাদের দলের ভেতরে ট্রেনিংপ্রাপ্ত কিছু দুষ্কৃতকারী আছে, যাদের দিয়ে বাস পোড়াবে, বাসে আগুন দিবে, ভাঙচুর করবে। এসব অপকর্ম করার জন্য অবরোধ ডাকা হয়েছে। রাজনৈতিক সংকট নিরসনে স্বাধীন সংস্থা হিসেবে নির্বাচন কমিশন সংলাপ করতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

গতকাল জেলহত্যা দিবসে রাজধানীর বনানীতে পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্টের শহীদ ও ৩রা নভেম্বর কারাগারে নিহত জাতীয় নেতাদের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আবারো প্রমাণ করেছে তারা সন্ত্রাসী দল। ঢাকায় তারা যে রক্তপাত, তাণ্ডব ঘটিয়েছে এটা তারই প্রমাণ। এরপর এই সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই আসে না। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন সংস্থা, তারা সংলাপ করলে এটা তাদের বিষয়। টানা ৩ দিনের পর বিএনপি’র ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা সতর্ক পাহারায় আছি। পাহারা জোরদার করা হবে। এর আগে সকালে দলের নেতাদের নিয়ে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ওবায়দুল কাদের।

এরাই জাতির প্রধান দুশমন। শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে সারা জাতির কাছে আহ্বান জানাবো, এদেশের গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতাকে নিরাপদ করতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে, পরাজিত করতে হবে। গত ২৮শে অক্টোবর বিএনপি’র সমাবেশ ঘিরে তাণ্ডবের প্রসঙ্গ টেনে সেতুমন্ত্রী বলেন, সেদিন বিএনপি ২৪ জন সাংবাদিকের উপর নৃশংসভাবে হামলা করেছিল, কীভাবে একজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছিল, হাসপাতালে হামলা চালিয়েছিল, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছিল। পার্কিং করা বাসে হেলপার শুয়েছিল, ঘুমন্ত হেলপারকে গাড়িসহ পুড়িয়ে দেয়া হয়। এসব অপকর্মে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের আটক করা কি দমনমূলক? অপরাধ করলে বিচার হবে না? ২৪ জন সাংবাদিকের উপর সেদিন যে অত্যাচার করেছে, তারা কি দায় এড়াতে পারবে? এটার বিচার হবে না? অপরাধ করলে বিচার হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা আরও ৪৮০০ দিন অবরোধ দিক। গতবারের অবরোধ রয়ে গেছে। এখনো প্রত্যাহার করার লক্ষণ নেই। এরা টায়ার্ড হয়ে গেছে। জেলে, না হয় পালিয়ে হিন্দি সিরিয়াল দেখবে। বসে বসে এখন তো আর কষ্ট নেই। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের আজকে প্রশ্ন, এটা জাতির বিবেকেরও প্রশ্ন, বাংলার মাটিতে এই হত্যা, ষড়যন্ত্র, এই রাজনীতির শেষ কোথায়? আমাদের কাছে মনে হয়, পঁচাত্তর থেকে যে হত্যাকাণ্ড, সব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ হিসেবে। সেই পরাজিত শক্তি বারবার জাতির মর্মমূল, জাতির চেতনায় বারবার আঘাত হেনে চলছে। এরা সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। আজকে তারা শেল্টার পেয়েছে। এদের বিশ্বস্ত ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি।

সাম্প্রদায়িক অপশক্তি- পঁচাত্তর থেকে যারা জাতীয় জীবনে নৃশংস ট্রাজেডি সংঘটিত করেছে, তাদের বিশ্বস্ত ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫-এর ১৫ই আগস্ট এবং ৩রা নভেম্বর যেসব ঘটনা ঘটেছে সেগুলো কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। ১৫ই আগস্ট এবং ৩রা নভেম্বর একই সূত্রে গাথা, একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। ’৭৫-এর ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নিঃশেষ করার চক্রান্ত হয়, শুধুমাত্র শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে ছিলেন বলে তারা রেহাই পেয়েছেন। এরপর ৩রা নভেম্বর জেলের অভ্যন্তরে মুক্তিযুদ্ধের ৪ জন বিশিষ্ট সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর সহচর, আমাদের ৪ জাতীয় নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। এরপর ২০০৪ সালের ২১শে আগস্টের প্রধান টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।