ঢাকাসোমবার, ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিএনপিকে উঠে দাঁড়ানোর সুযোগ দেবে না আওয়ামী লীগ

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
অক্টোবর ৩০, ২০২৩ ১২:৫৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিএনপিকে উঠে দাঁড়ানোর সুযোগ দেবে না আওয়ামী লী
ক্ষমতাসীন দলটির নীতিনির্ধারকেরা মনে করেন, ২৮ অক্টোবর শনিবারের সংঘাতের পর বিএনপি আবারও ঘুরে দাঁড়ালে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বিঘ্নে করা যাবে না। ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগ—দুই দিক থেকেই কঠোরভাবে বিএনপির ওপর চাপ প্রয়োগ করা হবে।আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে এ মনোভাব জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির শীর্ষ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নেতাদের গ্রেপ্তারের যে যাত্রা শুরু হয়েছে, তা তফসিল ঘোষণার আগপর্যন্ত অব্যাহত রাখা হবে।
অন্যদিকে বিএনপি তিন দিনের অবরোধের যে কর্মসূচি দিয়েছে, এর পাল্টা হিসেবে আওয়ামী লীগ সারা দেশে ওই তিন দিনই ‘শান্তি মিছিল’ করবে এবং কেন্দ্র থেকে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত দলের সব কার্যালয়ে সতর্ক পাহারা থাকবে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা পাড়া–মহল্লায় ‘পাহারা’ জোরদার করবেন, যাতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা হরতাল-অবরোধ সফল করার জন্য নামতে না পারেন। আর প্রধানমন্ত্রী সময়-সুযোগমতো ঢাকা ও ঢাকার বাইরে কিছু বড় সমাবেশ করবেন।২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে সংঘাত ও পুলিশের মৃত্যুর ঘটনার পর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার শুরু হয়। গতকাল রোববার দিনভর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের বেশ ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেছে। তাঁরা মনে করছেন, বিএনপি আর রাজপথের শক্তি দেখাতে পারবে না। বিদেশি যেসব শক্তির ওপর বিএনপির ভরসা ছিল, তারা কী করে, সেটা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে মধ্যম ও নিচু সারির নেতাদের মধ্যেও স্বস্তির ভাব দেখা যায়।আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সূত্র বলছে, বিএনপির যে শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তাঁদের বিষয়ে আওয়ামী লীগ এতটা বিরূপ নয়। তাঁদের ক্ষোভ মূলত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে। বিএনপির নেতাদের এটাই বোঝানো হবে যে তারেক রহমানের কথা শুনলে তাঁদের রাজনীতিতে ভবিষ্যৎ নেই। আর শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করা হলে এবং গ্রেপ্তার–আতঙ্কে অন্যরা আড়ালে চলে গেলে কর্মীরাও হতাশ হয়ে পড়বেন। এর মাধ্যমে বিএনপিতে তারেক রহমানের কর্তৃত্ব খর্ব করতে চায় আওয়ামী লীগ।বিএনপির সবচেয়ে ভালো বিকল্প হচ্ছে সংবিধান মেনে নির্বাচনে অংশ নেওয়া। রাজপথে আন্দোলন করে কিছুই হবে না। তিনি বলেন, বিএনপি এর আগেও টানা অবরোধ, জ্বালাও-পোড়াও করে সরকারের কিছু করতে পারেনি। ভবিষ্যতেও দাঁড়াতে পারবে না বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সাধারণ মানুষ ও আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মীদের মধ্যে আতঙ্কের কারণে নির্বাচনমুখী পরিবেশ তৈরি হচ্ছিল না। বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি চাপা দেওয়া গেলে দেশে নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করা যাবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে বেশিসংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করা আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। সে ক্ষেত্রে স্বস্তির পরিবেশ দরকার।