সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অবনতিশীল স্বাস্থ্যের বিষয়ে মনিটরিং করছে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি যাতে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি সুবিধা পান তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারির প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেছেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। অভ্যন্তরীণ আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে তার কাছে কোনো তথ্য নেই বলেও জানান তিনি।
তার কাছে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারি জানতে চান- যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে খালেদা জিয়ার বিচারে প্রয়োজনীয় সুষ্ঠুতা অবলম্বন করা হয়নি। তাকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার কৌশল নেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় তাকে বিদেশে চিকিৎসা সুবিধা দেয়ার অনুমতি দিতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি কি যুক্তরাষ্ট্র আহ্বান জানাবে? সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী জন হপকিন্সের তিন জন চিকিৎসক বর্তমানে বাংলাদেশে আছেন এবং তারা তার স্বাস্থ্যগত বিষয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন। ভয়েস অব আমেরিকার ইংলিশ সার্ভিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সরকারের অধীনে বিধিনিষেধের কারণে দেশের প্রথম নারী এই প্রধানমন্ত্রী মারা যাওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি? তার এ প্রশ্নের জবাবে ওই মন্তব্য করেন ম্যাথিউ মিলার। সাংবাদিক মুশফিক আরও জানতে চান, ২৮শে অক্টোবর বড় রকমের র্যালিকে সামনে রেখে বিরোধীদের ওপর কড়া আক্রমণ চালাচ্ছে সরকার। প্রতিদিনই গ্রেপ্তার করছে।
যেকোন উপায়ে তারা ওই র্যালি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সহ আপনি বহুবার বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি? জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমাদের অবস্থান হলো আমরা বিশ্বাস করি আসন্ন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হওয়া জরুরি। তার কাছে অন্য একজন সাংবাদিক জানতে চান- সম্প্রতি ঢাকা সফর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারি আন্ডার সেক্রেটারি আফরিন আক্তার। বিভিন্ন টকশোতে বিরোধী দল সমর্থিত বক্তারা দাবি করছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে ৩রা নভেম্বর পর্যন্ত একটি ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র অন্যথায় পরিণতি ভোগ করতে হবে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে, তবু বিরোধী দলের বিশ্লেষকরা অব্যাহতভাবে দাবি করছে যে, তাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আপনি কি স্পষ্ট করে এ বিষয়ে নিশ্চিত করবেন বা প্রত্যাখ্যান করবেন? জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমি শুধু বলবো, আমরা অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বিষয়ে কোনো পক্ষ অবলম্বন করিনি।