রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শরীরে অস্ত্রোপচার করেছেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে দেড় ঘণ্টাব্যাপী অস্ত্রোপচার করেন তারা। মেডিকেল বোর্ডের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, ম্যাডামের লিভার সিরোসিস জটিলতার কারণে পেটে পানি জমা ও রক্তক্ষরণ বন্ধে ট্রান্সজুগলার ইন্ট্রাহেপাটিক পোরটোসিস্টেমিক সান্ট (টিপস) পদ্ধতি শুরু করার জন্য মেডিকেল বোর্ড আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের চিকিৎসকরা এই ‘টিপস’ পদ্ধতিতে কোনো রোগীকে আগে চিকিৎসা দেননি। তাই যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় জনস হপকিন্সের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। তারা গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় টিপস পদ্ধতিতে চিকিৎসা শুরুর জন্য ম্যাডামকে অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) নিয়ে যান। সেখানে তার যকৃতের ধমনিতে সফলভাবে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। অস্ত্রোপচার শেষে ফের তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
অস্ত্রোপচারের সময় অধ্যাপক ডা. হামিদ আহমেদ আব্দুর রব, অধ্যাপক ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডেস, জেমস পিটার হ্যামিলটন, ডা. এফ এম সিদ্দিকী, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বুধবার রাতে ঢাকায় পৌঁছেন জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. হামিদ আহমেদ আব্দুর রব, ডা. জেমস পিটার অ্যাডাম হ্যামিলটন ও ডা. ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডেস। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রফেসর হামিদ রব জনস হপকিন্সের কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট প্রোগ্রামের পরিচালক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। আর সহযোগী অধ্যাপক জেমস পিটার হ্যামিলটন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলোজি বিভাগের পরিচালক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ।
ডা. ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডেস ইন্টারভেনশনাল অনকোলজি বিভাগের পরিচালক ও রেডিওলোজি অ্যান্ড রেডিওলোজিক্যাল বিশেষজ্ঞ। রাতেই দুজন চিকিৎসক খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। এবং মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফের তিন চিকিৎসক এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। আরেকদফা মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে ‘টিপস’ প্রক্রিয়া শুরুর সিদ্ধান্ত নেন।