ঢাকামঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত, তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে হামুন

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
অক্টোবর ২৫, ২০২৩ ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় চট্টগ্রাম বন্দরসহ উপকূলের ব্যাপক এলাকায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় প্রস্তত রাখা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র। ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর নাগাদ ভোলার কাছে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হামুন উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি তীব্রতর হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের কাছে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। দমকা হাওয়ার প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে পড়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছ থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত

সাগরে সৃষ্টি হওয়া প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’-এর কারণে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের আঘাতে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে নিজস্ব ‘অ্যালার্ট ৩’ জারিসহ ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে অবস্থানরত ২২টি জাহাজকে গভীর সাগরে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, “আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেতের ওপর নির্ভর করে, বন্দরের নিজস্ব সতর্কতা সংকেত ‘অ্যালার্ট- ৩’ জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৫, ৬ ও ৭ নম্বর সতর্কতা সংকেতের জন্য এ অ্যালার্ট জারি করা হয়। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১১টায় বন্দর ভবনে কর্মকর্তাদের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।”

এদিকে, চট্টগ্রাম বন্দরে পাইলটের তত্ত্বাবধানে ২৪ ঘণ্টার বিশেষ কনট্রোল রুমে খোলা হয়েছে। বন্দরের মেরিন ডিপার্টমেন্ট, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশের সহায়তায় বন্দর চ্যানেল ও জেটি থেকে ছোট বড় সব জাহাজ বহির্নোঙরে কিংবা শাহ আমানত সেতুর পূর্বপাশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব ছোট জাহাজ ও নৌযানগুলো জেটিতে বাঁধা হয়।

এদিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা, সচেতনতামূলক মাইকিংসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।