ঢাকারবিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভোটারবিহীন নির্বাচন এবার করতে পারবেন না : মির্জা ফখরুল

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
অক্টোবর ১৬, ২০২৩ ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলেও এবার ভোটারবিহীন নির্বাচন করতে পারবেন না। কারণ এবার মানুষ যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তাতে করে সেটা সম্ভব হবে না। গতকাল রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে বিএনপি’র উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দেশীয়-আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে ‘নো কমেন্ট’ সম্পাদিত গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন বিএনপি মহাসচিব। গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন আলোকচিত্রী সাংবাদিক বাবুল তালুকদার। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন লেখকের লেখা নিয়ে এই গ্রন্থটি প্রকাশ করা হয়। কলি প্রকাশনীর এই গ্রন্থটির মূল্য হচ্ছে ৯৯৯ টাকা।

 

যেভাবেই হোক এ দেশে নির্বাচন হবেই- প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, যারা এভাবে কথা বলেন, যেভাবেই হোক নির্বাচন হবে। নির্বাচন তো আমরাও চাই এবং সেটা জনগণের অধিকারের জন্য চাই। কিন্তু সেই নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে সেখানে জনগণ তার অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। শেখ হাসিনা চাইলেন যে, বিনা ভোটারের মাধ্যমেই তিনি নির্বাচিত হবেন, সেটা এবার হবে না।

২০১৪ সালে যা করতে পেরেছেন, ২০১৮তে যেটা করতে পেরেছেন এবার ২০২৪ সালে সেই নির্বাচন আপনি করতে পারবেন না। কারণ এবার মানুষ যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তাতে করে সেটা সম্ভব হবে না।

ফখরুল ইসলাম বলেন, আসল কথা হচ্ছে, উনি (প্রধানমন্ত্রী) শনিবার বলে দিয়েছেন তোমরা যে যা বলো ভাই আমার সোনার হরিণ চাই। অর্থাৎ যে যাই বলুক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যাই বলুক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন যাই বলুক, আমরা রাজনৈতিক দলগুলো যাই বলি, উনার ওই সোনার হরিণ চাই। অর্থাৎ ক্ষমতায় কাউকে যেতে দেবো না। টোটাল সংকটটা ওই জায়গায়।

 

 

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের প্রধানমন্ত্রী সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ক্ষমতা জরবদখল করে, রাষ্ট্র ব্যবহার করে, জোর করে বসে আছেন তিনি এবারো যখন নির্বাচন করবেন যে, নির্বাচন আসছে তখন কিন্তু একই কায়দায় তিনি তফসিল পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছেন। আর আমাদের মধ্যে কিছু কিছু লোক আছেন যারা সবসময় হতাশায় ভোগেন। আমার একটা বিশ্বাস যে, মাঠে থাকলে এই হতাশা আসে না। আমি তো আমার দলের কোনো মানুষের মধ্যে, কর্মীদের মধ্যে, নেতাদের মধ্যে কোনো হতাশা দেখি না, আমাদের সঙ্গে যারা আছেন যুগপৎ আন্দোলন যারা করছেন তাদের মধ্যে কোনো হতাশা দেখি না। আমরা বিশ্বাস করি এই সংগ্রামে অবশ্যই আমরা জয়লাভ করবো। কারণ আমরা সত্যের পথে আছি, সঠিক পথে আছি।

 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘‘কি হতে যাচ্ছে আগামী দিনগুলোতে। হাতে খুব বেশি সময় নাই, দুই মাস সময়। দুই মাসের মধ্যে লড়াই একটা চূড়ান্ত জায়গায় যেতে হবে। সবাই জানি, পূজার পরে বৃহত্তর আন্দোলন। এমন আন্দোলন যাতে সরকার পড়ে যেতে পারে, তাই তো। আমরা কী জানি সেই বৃহৎ আন্দোলনটা কী? আমাদের খুবই সূক্ষ্মভাবে সেটা রচনা করা দরকার। এখানে যদি মনে করেন আন্তর্জাতিক শক্তি সাপোর্টিজ বা সমর্থন থাকবে। তবে এখানকার বেইল (ঘণ্টা) আপনাকেই বাজাতে হবে। এই বেইল (ঘণ্টা) বাজানোর ক্ষেত্রে নেতৃত্বে যোগ্যতা ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক কিছু বিবেচনায় আসে। এই পর্যন্ত এই নেতৃত্বে বিএনপি ওয়ান্ডারফুল। অধৈর্য হওয়ার কিছু নেই। বিজয় আমাদের অবশ্যম্ভাবী।

 

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বক্তব্য রাখেন।