ঢাকারবিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আওয়ামী লীগের ৩০০ আসনের বিপরীতে নির্বাচনে হেরে গেলে মৃত্যুবরণ করব : আদম তমিজী

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
অক্টোবর ২, ২০২৩ ৯:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিতর্ক ও আদম তমিজী হক যেন একে আপরের পরিপূরক। কখনো ফেসবুক লাইভে এসে বাংলাদেশের পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলা, কখনো দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কথা, দলীয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ, কখনো নিজের বহু বিয়ে নিয়ে কথাবার্তা, কখনো নিজেকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়াসহ নানান বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা যেন তার নিত্যদিনের কাজ। এবার ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে গিয়ে ওপেন চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছেন ‘আওয়ামী লীগের ৩০০ আসনের বিপরীতে নির্বাচনে হেরে গেলে মৃত্যুবরণ মেনে নিবো, আর জিতলে পার্লামেন্ট ছাড়াই পাঁচ বছর বাংলাদেশ পরিচালনা করবো।’ 

মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) এক ফেসবুক পোস্টে আদম তমিজী হক এ মন্তব্য করেন।

আদম তমিজী হক লিখেন, আমি আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের সংসদের ৩০০ আসনের বিপরীতে নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য ওপেন চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি। আমি নির্বাচনে হেরে গেলে দেশদ্রোহিতার দায়ে জেলে যাবো বা মৃত্যুদণ্ড মেনে নিবো। আর জিতলে পার্লামেন্ট ছাড়াই পাঁচ বছর বাংলাদেশ পারচালনা করব। তবে নির্বাচনটি জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে হতে হবে। প্রতিটি ভোট বুথে অনুষ্ঠিত হবে, এখানে পোলিং এজেন্ট হিসেবে থাকবে শুধু প্রবাসী বাঙালিরা।

তমিজী আরও লিখেন,  দেখি তারা (আওয়ামী লীগ)  আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে কি না। জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে দেন কে পাগল আর কে ভাল।

এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, আদম তমিজী হক নিজের বাংলাদেশের পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলছেন। ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আওয়ামী লীগের একজন নেতা ছিলাম আমি। আওয়ামী লীগ আমার ১ হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছে। আমাকে দেশছাড়া করেছে। আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর চেষ্টা করছে। যার কারণে আমি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করলাম। এ দেশের নাগরিকত্ব আর চাচ্ছি না। কারণ, এ দেশের নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা আমার নেই।’

এরপর বাংলাদেশের পাসপোর্ট পোড়ানো ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য আদম তমিজী হককে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।

বেশ কয়েকদিন ধরে আদম তমিজী হকের ফেসবুক পোস্ট, লাইভ ও ভিডিও নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। তমিজী হকের অভিযোগ, গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও তার চাচা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান মতির লুটপাটের কারণে ঐতিহ্যবাহী শিল্পপ্রতিষ্ঠান হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ মুখ থুবড়ে পড়েছে। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা অবৈধ হস্তক্ষেপ, লুটপাট ও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছেন।