মাদ্রাসাছাত্রকে শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দীর্ঘ সাত মাস পর প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৭)।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারের চকরিয়া থানার বমুবিলছড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।তার নাম রিদুয়ানুল হক (৩২)। রিদুয়ানুল চকরিয়া উপজেলার চরণদ্বীপ এলাকার বদিউল আলমের ছেলে।
র্যাব-৭ জানায়, গত ১৩ মার্চ নগরের মেহেদীবাগে একটি মাদরাসার টয়লেট থেকে শাবিব শাইয়ান (১১) নামে হেফজ বিভাগের ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর বিষয়টি মাদরাসা কর্তৃপক্ষ আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেস্টা করলে পরবর্তীতে মরদেহের ময়নাতদন্তে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়াও জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রমাণও ধরা পড়ে।
এ ঘটনায় পর গত ১৬ মার্চ নিহতের বাবা মশিউর রহমান চৌধুরী বাদী হয়ে নগরের চকবাজার থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামি আটক করা হলেও হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রধান আসামি পলাতক ছিলেন।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার বলেন, প্রায় সাত মাস আগে মাদরাসার এক শিক্ষার্থীর হত্যা মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি মূলত ওই মামলার এজাহারভূক্ত প্রধান আসামি। সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চকরিয়ার চরণদ্বিপ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বেশকিছু তথ্য দিয়েছেন।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থার জন্য চকবাজার থানায় পাঠানো হয়েছে।
