চট্টগ্রামে ডিএনএস স্যালাইনের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। নগরীর ওষুধের দোকানগুলোতে স্যালাইন মিলছে না। এতে বিপাকে পড়েছে রোগীরা। কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার পর থেকে বাজারে এই স্যালাইন স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক গুণ চাহিদা বেড়ে গেছে। কিছু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে বাজারে সংকট তৈরি করে চড়া দামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
দোকানিরা জানান, চাহিদা অনুপাতে কোম্পানিগুলো স্যালাইন সরবরাহ দিতে পারছে না। এতে বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে। কিছু ব্যবসায়ী ওষুধ কোম্পানি থেকে সরাসরি সরবরাহ পেলেও সাধারণ দোকানিরা মোটেই স্যালাইন পাচ্ছে না। এতে ১০০ টাকার স্যালাইন কয়েক গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
দোকানিদের অভিযোগ সাধারণ দোকানিরা না পেলেও নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ ব্যবসায়ীর কাছে স্যালাইনের মজুত রয়েছে। তারা কোম্পানি থেকে সরাসরি কিনে নিচ্ছে। পরে বাজারে সংকট তৈরি করে বাড়তি দামে বিক্রি করছে। সাধারণ দোকানিরা স্যালাইন সরবরাহ পাচ্ছে না। ক্রেতারা না পেয়ে ফেরত যাচ্ছে। অনেকেই রোগীর জন্য জরুরি প্রয়োজনে নানা জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরও স্যালাইন পাচ্ছে না।
সাধারণত নরমাল ডিএনএস স্যালাইন বাজারে সরবরাহ থাকে। বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি এই স্যালাইন সরবরাহ দিয়ে থাকেন। অপারেশনসহ সাধারণ রোগে আক্রান্তদের এই স্যালাইন প্রদান করা হয়। ১০০ টাকার মধ্যে বাজারে এই স্যালাইন বিক্রি হয়ে থাকে।
কিন্তু ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার পর বাজারে এই স্যালাইনের চাহিদা বেড়ে যায়। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের এই স্যালাইন দিতে হচ্ছে। হঠাৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাজারে চরম সংকট তৈরি হয়েছে। কোম্পানিগুলো বাজারের চাহিদা অনুপাতে উৎপাদন করতে পারেছে না। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার পর বাজারে বাড়তি চাহিদার সুযোগ নিতে কিছু অসাধু দোকানি মজুত করে রাখে। তারা ১০০ টাকা দামের স্যালাইন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করে। পরে জেলা প্রশাসন নগরীর বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালিয়ে দোকানিদের জরিমানা ও সতর্ক করে দেন। এখন চট্টগ্রামের ওষুধ দোকানগুলোতে এই স্যালাইন মিলছে না। এতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ রোগীরা। এমনকি বাড়তি দাম দিয়েও ওষুধের দোকানগুলোতে স্যালাইন পাওয়া যাচ্ছে না।