চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজারে শাক সবজির সঙ্গে মাছ, মাংস, ডিম ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। ক্রেতারা বলছে, গত সপ্তাহের অতিবৃষ্টি ও বন্যার ‘অজুহাত’ দেখিয়ে বাজারে এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন বন্যার কারণে সরবরাহ কমে যাওয়াসহ বেশি দামে কিনতে হয়েছে শাক সবজিসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র। এই কারণে দাম কিছুটা বেশি।
নগরের বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত ছয় দিনের ব্যবধানে বিভিন্ন সবজির দাম কেজিতে ১৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মাছের দামও বেশ চড়া। নগরের বহদ্দারহাট ও চকবাজার ঘুরে প্রায় একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে। বৃষ্টি ও বন্যার দুই সপ্তাহ আগে বাজারে কমেছিল সবজি ও মুরগির দাম।
তা আবার বেড়ে গেছে।গতকাল শনিবার চকবাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুল করিম ও বহদ্দারহাটের রহমানসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, অতিবৃষ্টি ও ভয়াবহ বন্যায় সবজি উৎপাদনকারী এলাকা চট্টগ্রামের চন্দনাইশ দোহাজারী ও কাঞ্চননগর, পটিয়া, রতনপুর, সাতকানিয়া ও রাঙ্গুনিয়া এবং কক্সবাজারের চকরিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার শত শত সবজিক্ষেত নষ্ট হয়েছে। এতে করে বাজারে সবজি সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়তির কারণ বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
গত সপ্তাহের ৫০ টাকার বরবটি এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়।
একইভাবে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দামও। গত সপ্তাহের ১৬০ টাকার কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়। কচুর ছড়া ৮০ টাকা, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়। আলু (মুন্সীগঞ্জ) ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, দেশি (দোহাজারী) আলু ৮০ টাকা, বগুড়ার লাল আলু ৬০/৬৫ টাকা, পটল ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ো কাঁচা ৫০ টাকা, কাঁচা কলা হালি ৫০ টাকা, লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, কাঁকরোল ৮০ টাকা, ফুলকপি ১৭০ টাকা, বাঁধাকপি ৮০ টাকা, তিতকরলা ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকায়, ধন্ধুল (পরুল) ৮০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা এছাড়াও প্রায় সবকটি সবজির দাম বেড়েছে। পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৫ টাকা দাম বেড়ে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর বহদ্দারহাট ও চকবাজারে ডিম প্রতিডজন ১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা পাঁচ/ছয় দিন আগে ১৪০-১৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। হাঁসের ডিম ডজন ২০০ টাকা। কেজিতে ২৫ টাকা দাম বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকায়। সোনালি ৩১০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ২৭৫/২৮০ টাকা। লেয়ার মুরগি ৩৩০ টাকা ও দেশি ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।চকবাজার ও বহদ্দারহাটে বাজার করতে আসা কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানান, বাজারে সব পণ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে।
বহদ্দারহাটের পোল্ট্রি ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন জানান, টানা বৃষ্টি ও বন্যার কারণে মুরগির দাম বেড়েছে, উপজেলা থেকে গাড়ি আসতে না পারায় শহরের বাজারে মুরগি ও ডিমের সংকট দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় মানুষ বাজারে না এসে পাড়া মহল্লার দোকান থেকে ডিম, মুরগি দিয়ে প্রয়োজন সারছে।