ঢাকামঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫ লাখ, ৫৫ হাজার ৬১৭টি পরিবারকে ঘর দিতে পেরেছি : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
আগস্ট ৯, ২০২৩ ৭:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করছি। মানুষকে উন্নত জীবন দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আজকে আমি আনন্দিত যে, আমরা এ পর্যন্ত ৩৩৪ উপজেলাকে ভূমিহীনমুক্ত করতে পেরেছি। ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫ লাখ, ৫৫ হাজার ৬১৭টি পরিবারকে ঘর দিতে পেরেছি।    

বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূমিহীন-গৃহহীনদের মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

সরকারপ্রধান বলেন, অনেক বাধা অতিক্রম করে ১৯৮১ সালে যখন দেশে ফিরি তখন ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে আমাকে ঢুকতে দেয়নি জিয়াউর রহমান। যে বাড়িতে আমার বাবা-মা, ভাইকে হত্যা করা হয়েছে সেখানে আমাকে দোয়া করতে দেয়নি। রাস্তায় বসেই দোয়া করেছি। বাড়িটি সিলগালা করা ছিল। এমনকি বাড়িটি নিলামে তোলা হয়েছিল। ধৈর্য ধরেছি। বাংলাদেশের মানুষের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছি।

তিনি বলেন, সারা বাংলায় ঘুরছি। দেখেছি মানুষের কষ্ট। দুর্ভিক্ষ, মঙ্গা, ঝড়, বন্যায় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। লাখ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর ৯৭ সালে ঘুর্ণিঝড় হয়। তখন কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিনে দ্বীপে ৭০টি পরিবার পাই যাদের জমি ও ঘর ছিল না। সেন্টমার্টিনে আওয়ামী লীগের নেতারা তাদের জমি এই ক্ষতিগ্রস্তদের দান করেন। সেখানে আমরা তাদের জন্য ঘর তৈরি করি। দুর্গম এলাকা হওয়ায় জায়গাগুলোতে যাওয়াও মুশকিল ছিল। নৌবাহিনী তাদের জন্য ঘর নির্মাণের দায়িত্ব নেয়। সেই থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের যাত্রা শুরু।

শেখ হাসিনা বলেন, এরপর থেকে ঘরবাড়ি তৈরি করে দিয়ে এ দেশের মানুষের পুনর্বাসনে কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার। তাদের জীবন-জীবিকার পথ করে দিতে পেরেছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল এ দেশের একটা মানুষও ভূমিহীন থাকবে না।

অনুষ্ঠানে ভূমিহীন ও গৃহহীন অসহায় মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে আরও ২২ হাজার ১০১টি পরিবারের মাঝে নতুন ঘর তুলে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে এসব ঘর দেওয়া হলো।

বিনামূল্যে দুই শতক জমিসহ সেমিপাকা এসব ঘর পরিবারগুলোর কাছে তুলে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে দেশের ১২৩টি উপজেলাকে সম্পূর্ণ ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করেন সরকারপ্রধান। এর মধ্যে ১২টি জেলার সব উপজেলা ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত হলো।

ভিডিও কনফারেন্সে তিনটি আশ্রয়ণ প্রকল্প– খুলনার তেরখাদা উপজেলার বারাসাত সোনার বাংলা পল্লি, পাবনার বেড়া উপজেলার চাকলা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্ল্যাহপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।