সরকার শুধু ইয়েস শুনতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা গঠনমূলক সমালোচনাও সহ্য করতে পারে না। এ কারণেই চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, প্রকৌশলীসহ সব পেশাজীবী সংগঠনের শীর্ষে তাদের নিজেদের লোক নিয়োগ করতে চায়। সেজন্যই দেশের প্রকৃত সত্য বা বাস্তবতা বুঝতে পারে না সরকার। এতে দেশ ও মানুষের কল্যাণে নেওয়া উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃত্বে নিজস্ব লোক নিয়োগ করলে সরকারের উপকার হয় না, এটাও তারা বুঝতে চায় না।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয় মিলনায়তনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জি এম কাদের বলেন, পেশাজীবী সংগঠনগুলোতে কোন দল বা কোন মতের লোক নির্বাচিত হবে এটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। এখন এসব সংগঠনের নেতৃত্বেও দলীয়করণ করা হচ্ছে। দলের প্রতি আনুগত্য ভুলে পেশাজীবী সংগঠনের নেতাদের আলোচনা করতে হবে সরকারের সঙ্গে। অথচ এই সংগঠনগুলো তৈরি করা হয় জনগণের কল্যাণের জন্য। কিন্তু নেতারা আজ নিরপেক্ষভাবে ভূমিকা রাখতে পারছেন না। কারণ, সরকার সব পেশাজীবী সংগঠন দলীয়করণের মাধ্যমে নষ্ট করেছে। এখন সরকার যা বলছে, তারা শুধু ‘ইয়েস’ স্যার বলছে। জনগণের কথা চিন্তা না করে সরকারকে সমর্থন দিতেই ব্যস্ত হয়ে থাকে তারা। অথচ সরকারকে সঠিক পথে রাখতেই এই সংগঠনগুলোর সৃষ্টি হয়েছিল।
জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সালমা হোসেন এ্যাশ এফবিসিসিআইর পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি বক্তব্য দেন। উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।