আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক-মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘ছাত্র-যুবক জনতাসহ সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে বিগত নির্বাচনগুলোতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করেছে। বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকেই আগামীদিনেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করবে।’
বুধবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে আমির হোসেন আমু এসব কথা বলেন। আন্দোলনের নামে বিএনপির সন্ত্রাস-সহিংসতা ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ঠেকাতে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিনে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আমির হোসেন আমু বলেন, ‘গণতন্ত্র ও নির্বাচনের নামে বিভিন্ন ধোঁয়া তুলে ষড়যন্ত্র-চক্রন্ত শুরু হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তারা দেশের উন্নয়ন ও অগ্রাত্রাকেও ব্যহত করতে চায়। আমরা চাই, এদেশে সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত থাকবে। কোনো ধরনের অসাংবিধানিক ধারা চলবে না। তারা মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না।’
সমাবেশে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘জনগণের ওপর নির্ভর করে নয়, জনগণকে জিম্মি করে বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চায়। তারা নির্ভর করছে তাদের প্রভু যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর। মার্কিন রাষ্ট্রদূত নির্বাচন কমিশনে গিয়ে জবাবদিহি চেয়েছেন। কিছু দলকে নিবন্ধন কেন দেওয়া হয়নি, নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা কমে গেছে কিনা- এসব বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। তার প্রশ্নে মনে হয়েছে আমাদের দেশে যেন প্রভু এসেছেন। স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যুক্তরাষ্ট্র থামো। তোমরা তোমাদের নির্বাচন সামলাও। আমরা আমাদের নির্বাচন সামলাবো।’
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে অসাংবিধানিক শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে ষড়যন্ত্র করছে। তারা আজ মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে এদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এই ষড়যন্ত্র সফল হবে না। কারণ আমরা জানি, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ যাদের বন্ধু, তাদের শত্রুর অভাব হয় না।’
জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার শিরীন আখতার বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই নির্বাচনকালীন সরকার থাকবে। সেই লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ থেকে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে।’
আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন, গণআজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, গণতান্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, তরিকত ফেডারেশনের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারী, জাতীয় পার্টি-জেপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল খায়ের সিদ্দিকী আবু, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।