রাজধানীর মাতুয়াইলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় তিনটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তবে আগুন কারা দিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শনিবার দুপুর ১২টার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাতুয়াইল মাতৃসদন হাসপাতালের সামনে এ সংঘর্ষ হয়।
ঢাকার প্রবেশপথ যাত্রাবাড়ীতে অবস্থান নেওয়ার কথা থাকলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাতুয়াইলে অবস্থান নেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। বিএনপির নেতাকর্মীরাও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, মাতুয়াইল এলাকায় তিনটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। প্রথমে শ্রাবণ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে আনেন স্থানীয়রা। পরে স্বদেশ পরিবহন ও তিশা পরিবহনের বাসে আগুন দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
এদিন শনিবার দুপুর ২টার দিকে শান্ত ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। সেখানে পরিস্থিতি দেখতে এসে ডিএমপি ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার জিয়াউল আহসান তালুকদার বলেছেন, যাত্রাবাড়ী মাতুয়াইল এলাকার পরিস্থিতি খুব বেশি ভালো না, আমরা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। বিএনপি নেতাকর্মীরা বেরিয়ে এসে আগুন দিচ্ছে। এখন পর্যন্ত তারা সাত-আটটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সব ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট ব্যবহার করেছে। এ সংঘর্ষে পুলিশের ২০-২৫ জন সদস্য আহত হয়েছে। তবে কতজন বিএনপি নেতাকর্মী আটক সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেনি তিনি।