ঢাকামঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

২ আগস্ট তারেক-জোবায়দার মামলার রায়

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
জুলাই ২৭, ২০২৩ ৯:৩৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের রায়ের জন্য ২ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের চূড়ান্ত যুক্তি উপস্থাপন শেষে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামান বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার জন্য এই দিন ধার্য করেন। দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত। ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ৪৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে এই মামলাটি হয়েছিল ২০০৭ সালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। এ সময় তিনি গ্রেপ্তার হন। পরে ২০০৮ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি স্বপরিবারে লন্ডনে চলে যান। এরপর আর দেশে ফেরেননি।

এর মধ্যেই চারটি মামলায় তার বিরুদ্ধে সাজার রায় এসেছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে দুই বছর, অর্থ পাচারের দায়ে সাত বছর, জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর এবং একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে বিদেশে পালিয়ে আছেন তারেক রহমান। স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান সরকারি চাকরিতে থাকাকালে ছুটি নিয়ে বিদেশ যাওয়ার পর আর কর্মস্থলে যোগ না দেওয়ায় ২০১৪ সালে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।

দুনীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ কৌসুলি আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘তারা দুজনেই পলাতক। এই মামলায় তিনজন আসামি ছিলেন। তারেক রহমানের শাশুড়ি মারা যাওয়ায় তাঁকে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার সম্পদের মালিক হওয়া এবং মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, তাঁর স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমানকে সহায়তা ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় জোবায়দা ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক।’

এ মামলার বৈধতা নিয়ে পৃথক তিনটি রিট করা হয়েছিল। হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন। গত বছর ২৬ জুন রুল শুনানি শেষে তা খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এ মামলার নথিপত্র ঢাকার মহানগর বিশেষ জজ আদালতে পাঠাতে এবং জজ আদালতে দ্রুত এ এ মামলার নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি তারেক-জোবায়দাকে ‘পলাতক’ বিবেচনা করে, তাদের অনুপস্থিতিতে কোনো আইনজীবী এ মামলা পরিচালনা করতে পারবে না বলে রায় দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। এরপর নিম্ন আদালতে মামলাটি আবার গতি পায়।