এ সময় বিএনপিকে উদ্দেশ্য নায়ক ফেরদৌস বলেন, ভোটের প্রতিযোগিতায় সবার অংশ নেওয়া উচিত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন আর বাংলাদেশের পরিচয় বলতে হয় না যে বাংলাদেশ অমুক দেশের পাশে। বাংলাদেশের বেশ কিছু কাজ গোটা বিশ্বেই প্রশংসিত হয়েছে। আমি কদিন আগে দুবাই গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে বাংলাদেশ বলাতেই সবাই চিনে ফেলেছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডায়নামিক নেতৃত্বের প্রশংসা বিশ্ব নেতাদের মুখে মুখে।
নির্বাচনে অংশ নেবেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছি, মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি, নৌকার হয়ে ভোট চাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করেন। তিনি যদি কখনও মনে করেন, আমি ভোটে দাঁড়ালে দলের জন্য ভালো হবে তাহলে অবশ্যই নির্বাচন করবো।
প্রসঙ্গত, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫, ১৮, ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনের ভোটার ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮০ জন। ১২৪টি কেন্দ্রের ৬০৫টি কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে।
ঢাকা-১৭ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৮ জন প্রার্থী। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় পার্টির সিকদার আনিসুর রহমান, জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের রেজাউল ইসলাম স্বপন ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের আকবর হোসেন।
এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম (হিরো আলম) এবং তারিকুল ইসলাম।
এসব প্রার্থীর মধ্যে প্রচারণায় বেশি তৎপর ছিলেন নৌকা প্রতীকের মোহাম্মদ এ আরাফাত, একতারা প্রতীকের হিরো আলম এবং জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের সিকদার আনিসুর রহমান।