ঢাকাবুধবার, ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পরীক্ষায় পাস মার্ক ৩৩ নাম্বার যেভাবে হলো

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
জুলাই ১৪, ২০২৩ ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

১৮৫৮ সালে উপমহাদেশে ১ম বারের মত মেট্রিকুলেশন পরীক্ষা চালু করা হয়।

কিন্তু পাস নম্বার কত হবে তা নির্ধারণ নিয়ে বোর্ড কতৃপক্ষ দ্বিধাদ্বন্দে পড়ে যায়, এবং এ বিষয়ে ব্রিটেনে কনসাল্টেশনের জন্য চিঠি লেখা হয়।

 

তখন ব্রিটেনে স্থানীয় ছাত্রদের জন্য পাসের নাম্বার নির্ধারিত ছিল ৬৫। সে সময় ইংরেজ সমাজে একটা প্রচলিত ধারণা ছিল, “The people of Subcontinent are half as intellectual and efficient as compared to the British” অর্থাৎ “বুদ্ধি ও দক্ষতায় উপমহাদেশের মানুষকে ইংরেজদের তুলনায় অর্ধেক জ্ঞানের অধিকারী বলে মনে করা হতো”…!!!

 

এর-ই ধারাবাহিকতায় মেট্রিকুলেশনের পাস নাম্বর ৬৫ এর অর্ধেক ৩২.৫ নির্ধারণ করা হয়।

 

১৮৫৮ সাল হতে ১৮৬১ সাল পর্যন্ত পাশ নম্বর ৩২.৫ ই ছিল। পরে ১৮৬২ সালে তা গননার সুবিধার্থে বৃদ্ধি করে ৩৩ করা হয়।

সেই থেকে এই ৩৩ নাম্বর-ই চলছে।

 

ফেডারেল পাকিস্তানেও ছিলো, বাংলাদেশেও তাই চলছে। আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে আইআইটিতে বিষয়ভেদে পাশ নম্বর ৪১ থেকে শুরু করে ৯০ পর্যন্তও হয়ে থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রে এমআইটিতে বিষয় ভেদে ৩৬ থেকে ৪৫ এমন কি বাংলাদেশেও C.A কিংবা C.M.A- তে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পাশ নম্বর নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।

 

লক্ষনীয় ও আজব ব্যাপার হল, প্রায় দুই শতাব্দী পরেও আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ৩৩ নম্বরে উত্তীর্ন হওয়ার ধারাবাহিক ইতিহাস বদলায়নি।