ঢাকাবৃহস্পতিবার, ৩রা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চীন বৈশ্বিক সংকট প্রশমনে ভূমিকা রাখবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
জুলাই ৫, ২০২৩ ১০:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চীন মধ্যপ্রাচ্যের মতো বাংলাদেশসহ অনেক বৈশ্বিক সংকট প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ড. মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে আলাপচারিতার সময় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বৈঠকের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্যে ইতিবাচক ফলাফল বহনকারী চীনা কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সাম্প্রতিক সাফল্যের প্রশংসা করেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘ড. মোমেন আশা প্রকাশ করেন, চীন বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অন্যান্য অনেক সংকট প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’ খবর বাসসের

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈশ্বিক দক্ষিণের ব্যাপকতর সম্মিলিত কল্যাণের জন্য ‘দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা’ আরও বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কর্তৃক বাংলাদেশে প্রবর্তিত কমিউনিটি ক্লিনিক সহ বিভিন্ন উদ্ভাবনী পদ্ধতির উল্লেখ করেন, যা এখন আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত।

ড. মোমেন আরও বলেন, বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশ সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য অনেকগুলো ব্যবহারিক, সহজ এবং কার্যকর চীনা উদ্ভাবন প্রয়োগ করতে পারে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী কভিড-১৯ মহামারি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন এবং এ বিষয়ে চীনের উল্লেখযোগ্য সহায়তার প্রশংসা করেন।

তিনি মূল্যস্ফীতির চাপ এবং বিশেষ করে উন্নয়নশীল বিশ্বের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় অনাকাঙ্ক্ষিত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অন্যান্য অর্থনৈতিক দুর্দশার কথাও তুলে ধরেন। সংলাপ ও শান্তিপূর্ণ কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে অবিলম্বে যুদ্ধের অবসান হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

চীনের রাষ্ট্রদূত তাকে বাংলাদেশে চীনের সহায়তায় পরিচালিত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সম্পর্কে অবহিত করেন।

ড. মোমেন বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে চীনকে ধন্যবাদ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন, চলমান দ্বিপাক্ষিক সম্পৃক্ততা আরও বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রযুক্তি ও দক্ষতা হস্তান্তরের সুবিধার্থে বাংলাদেশে বৃহত্তর চীনা বিনিয়োগকে উৎসাহিত করেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে মতামত বিনিময়ের সময় বিরাজমান বর্ষার সমস্যা এবং দেশের সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতির ওপর এর প্রভাব, বিশেষ করে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি আলোচনায় উঠে আসে।

চীনের রাষ্ট্রদূত বন্যা পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে মোকাবিলায় নদীগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের নদীগুলো ড্রেজিংয়ে সহায়তা বাড়ানোর প্রস্তাব দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে অস্থায়ীভাবে বাংলাদেশে আশ্রয়প্রাপ্ত রোহিঙ্গাদের কাঙ্ক্ষিত প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে ত্রিপক্ষীয় কাঠামোর অধীনে চীনের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি দেন ও প্রশংসা ব্যক্ত করেন।

তারা বিভিন্ন বহুপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে চলমান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা পর্যালোচনা করেন।