ঢাকাশুক্রবার, ১৩ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিএনপির কর্মসূচি হচ্ছে সন্ত্রাসনির্ভর, তারা রাজনীতির নামে সন্ত্রাস করে : তথ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
জুন ২৬, ২০২৩ ৯:২১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে পার্থক্য আছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি নেতাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হচ্ছে, তারা রাজনৈতিককর্মী আর সন্ত্রাসী গুলিয়ে ফেলেছেন। কারণ, বিএনপির কর্মসূচি হচ্ছে সন্ত্রাসনির্ভর, তারা রাজনীতির নামে সন্ত্রাস করে। এখানেই হচ্ছে বিপত্তি।’

সোমবার সচিবালয়ে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) প্রকাশিত ড. কামরুল হাসান সম্পাদিত ‘সংবাদপত্রে নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ ও গ্রন্থকার মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।

সাংবাদিকরা বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য ‘সরকারের অত্যাচার-নির্যাতনের কারণে জাতির সব অর্জন অগ্রগতি হারিয়ে যেতে বসেছে’ নিয়ে প্রশ্ন করলে ড. হাছান বলেন, ‘এর অর্থ গত সাড়ে ১৪ বছরে জাতির অনেক অর্জন আছে এটা মির্জা ফখরুল সাহেব স্বীকার করে নিয়েছেন। সরকার কারো ওপর জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘যারা আগুন-সন্ত্রাস চালিয়েছে, পুলিশের ওপর হামলা করেছে এবং এখনো করছে, মির্জা ফখরুল সাহেবদের নেতৃত্বে যারা এখনো রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর করছে, তাদের বিরুদ্ধে তো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

চাঁদাবাজি, ব্ল্যাকমেইলসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত অনিবন্ধিত আইপি এবং ক্যাবল টিভি’র বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে সম্প্রতি চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসন চারটি অবৈধ আইপি টিভি’র অফিস সিলগালা করা প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার অনুমোদিত বৈধ টেলিভিশন চ্যানেলগুলো প্রতি মাসে শুধু বিটিআরসিকে ২০ লাখ টাকার বেশি ফি দেয়। এসব টিভিতে অনেক সাংবাদিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। বর্তমানে ৩৬টি বেসরকারি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারে আছে, আরও আসবে। কিন্তু কোনো অনুষ্ঠানে গেলেই দেখা যায় যে, এই টিভি চ্যানেলের মতো একই ধরনের বুম আর ছোট একটা ক্যামেরা নিয়ে হাজির হয় অননুমোদিত নানা আইপি টিভি। এদের কোনো অনুমোদন নাই, এরা চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত।’

হাছান মাহমুদ জানান, ‘সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী আইপি টিভি বা ইউটিউব চ্যানেলের নামে সংবাদ বুলেটিন বা অন্য কৌশল অবলম্বন করে সংবাদ প্রচার করা যায় না, তারপরও তারা এই কাজটি করে। সেটি করতে গিয়ে অমুকের পক্ষে সংবাদ প্রকাশ করার জন্য চাঁদা নেয়, বিপক্ষে করার জন্যও হুমকি দিয়ে চাঁদা নেয়। বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সাংবাদিক নিয়োগ দেওয়ার জন্য টাকা নেয়, প্রতি মাসেও প্রতিনিধিদের কাছে উল্টো টাকা দাবি করে। এই কাজগুলো সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় হচ্ছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনা করার জন্য এবং যাদের বৈধ লাইসেন্স নেই,  যারা চাঁদাবাজি এবং অন্যান্য অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।’

তিনি বলেন, ‘‘এই পদক্ষেপ নিতে গিয়ে ‘কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে এসেছে’। অর্থাৎ, সেখানে তাদের কার্যালয়ের মধ্যে অবৈধ ও ভেজাল নানা ধরনের খাদ্যসামগ্রী পাওয়া গেছে। অন্যান্য জেলাতেও এ ধরনের অভিযান পরিচালিত হবে।’’