ঢাকাবুধবার, ২রা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চবির দুই ছাত্রলীগ নেতা ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার, ‘লোক দেখানো’ শাস্তি বলল চবিসাস

Link Copied!

চট্টগ্রাম বিশ্বিবদ্যালয়ের চায়ের দোকানে চেয়ারে বসতে অনুমতি না নেয়ায় তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে সাংবাদিককে মারধর করে ছাত্রলীগের দুই নেতা চবি ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী খালেদ মাসুদ, উপদপ্তর সম্পাদক ও সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত রায়হান। এ সময় ভুক্তভুগী সাংবাদিক নিজেকে গণমাধ্যমকর্মী পরিচয় দিলেও ১০-১২জনের একটি ছাত্রলীগবহর ছাত্রলীগ নেতা খালিদ মাসুদ ও আরাফাত রায়হানের নেতৃত্বে সাংবাদিকের উপর উপর্যুপরি হামলা করে ও পেটে লাথি মারতে থাকে।

 

গত ১৯শে জুন, বৃহস্পতিবার রাতে প্রধান অভিযুক্ত দুই আসামী খালিদ মাসুদ ও আরাফাত রায়হানের নেতৃত্বে সাংবাদিকের উপর যে বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়। তা তদন্ত কমিটি কর্তৃক প্রমানিত হওয়ায়। অভিযুক্ত প্রধান দুই আসামীকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ২২শে জুন, বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স, হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

 

 

তবে এ সিদ্ধান্তকে ‘লৌখিকতা ছাড়া আর কিছু নয় ’ বলে দাবি করেছে চবিসাস।

 

চবিসাস সভাপতি মাহবুব এ রহমান বলেন, ‘ছয় মাসের বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত আমাদেরকে নিরাশ করেছে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে এমন বিচার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না । ভুক্তভোগী সাংবাদিক একজন কিডনি রোগী। তিনি এখনও হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন। শাস্তির নামে মূলত অপরাধীদেরকে সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে।

 

 

চবিসাস সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমু বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি তাহলে অপরাধীদের কাছে জিম্মি? অপরাধীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চেয়ে ক্ষমতাশালী, তা-ই প্রমাণ করলো তদন্ত কমিটি৷’এ রায়ে কোনোভাবেই সন্তুষ্ট নন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাবো৷’

 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘তদন্ত কমিটির রিপোর্টের আলোকে আমরা ওই দু’জনকে শাস্তির আওতায় এনেছি। অভিযুক্ত খালেদ মাসুদ ও আরাফাত রায়হানকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা যদি এরপরও ঔদ্ধাত্যপূর্ণ আচরণ করে, তাহলে তাদের শাস্তির পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে।’

 

 

ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ১৯ জুন, সোমবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে একটি চায়ের দোকানের সামনে । ভুক্তভোগী সাংবাদিক দোস্ত মোহাম্মদ বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৬-১৭ সেশনর শিক্ষার্থী। তিনি চবি সাংবাদিক সমিতির সদস্য ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা স্টেটের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।

 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী চায়ের দোকানে চা খেতে গিয়ে চেয়ারে বসার অনুমতি না নেয়ায়, ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক খালেদ মাসুদ বলেন, “তুমি অনুমতি কার থেকে নিয়েছো?”এরপরে একে অপরে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে গেলে খালেন মাসুদ তার মুখে গরম চা মেরে দেয় এবং চায়ের কাপ দিয়ে ভুক্তভোগীর মাথায় আঘাত করে। তাৎক্ষণিক ১০ থেকে ১২ জনের একটি ছাত্রলীগ বহর এসে ঐ সংবাদিকের নেক্কারজনক হামলা করে ও পেটে লাথি মারতে থাকে। আর এর মাধ্যমে ভুক্তভুগী সাংবাদিক গুরুতর আহত হয় এবং সে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন বলে বিভিন্ন সূত্রের মারফতে জানা যায় জানা যায়।