আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের সুষ্ঠু নির্বাচনকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে হবে। বিএনপি মহাসচিবের কী বিশ্রি মন্তব্য! এমন বিষাক্ত কথা মুখ থেকে কী করে বের হয়? দেশের সুষ্ঠু নির্বাচনকে তিনি বলেন ‘কুত্তা মার্কা’ নির্বাচন! তিনি কী গাজীপুর, বরিশাল, খুলনা ও কক্সবাজারের নির্বাচন দেখেননি?
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় মিলনায়তনে কৃষক লীগের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দিনের বেলায় জেগে জেগে স্বপ্ন দেখে অস্থির হয়ে মির্জা ফখরুলের মুখ বিষাক্ত হয়ে গেছে। মির্জা ফখরুলের এমন শব্দ ব্যবহার করার পরও মার্কিন ভিসা নীতি এখানে কী করবে? এটা তো সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে শুধু এ দেশেই নয়; দেশের বাইরে থেকেও খেলা চলছে; চক্রান্ত চলছে। বিএনপি কোটি কোটি টাকা দিয়ে লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ক্ষমতায় না থাকলেও তাদের সে অর্থ আছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছয়জন এমপি এবং ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যানের চিঠি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসব চিঠিতে বলা হচ্ছে– বাংলাদেশে নাকি মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। দেশটা আমাদের, আর মাথাব্যথা তাদের। এ চিঠির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বলা কিংবা সুষ্ঠু ভোটের নামে নির্বাচন বানচাল করা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ‘তারুণ্যের সমাবেশ’-এর নামে চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করেছে। আজকে যারা বিদেশ থেকে কথা বলছেন, এ ঘটনায় তাঁরা কী ব্যবস্থা নেবেন? এটা কী সুষ্ঠু নির্বাচনে অন্তরায় নয়? এটা কারা করেছে– বিএনপি ও তার দোসররা।
বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুরকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করবে, গ্রেপ্তার হলে বলবে– মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, বিনাবিচারে আটক ইত্যাদি।
‘মার্কিন ভিসা নীতির কারণে আওয়ামী লীগের হাঁটুর কাঁপুনি শুরু হয়েছে’– বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি সব ধরনের আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। এ কারণে মরহুম জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিএনপিকে বলেছিলেন, ‘হাঁটুভাঙা দল’। আওয়ামী লীগের হাঁটু ভাঙেনি, হাঁটু কাঁপছেও না। বরং নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে বিএনপিরই হাঁটুর কাঁপুনি শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কাউকে ভয় পায় না। আমাদের ইমানের শক্তি আছে, দেশপ্রেম আছে। আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস এদেশের জনগণ।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট সমাধানেও কাজ করছে সরকার। আগামী ৫-৭ দিনের মধ্যেই বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
ওবায়দুল কাদের পরে কৃষক লীগের বিভিন্ন জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেন। কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি প্রমুখ।
