আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংলাপ নিয়ে উদ্ভট ও মনগড়া বক্তব্য রাখছেন। তারা যতদিন এ দেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ব্যাহত এবং নির্বাচন ও নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপতৎপরতা থেকে বিরত না হবেন, ততদিন পর্যন্ত সংলাপের কোনো প্রশ্নই আসে না। রোববার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে প্রহসনমূলক ও বিভ্রান্তিকর আখ্যা দিয়ে এই বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রহসন ও প্রতারণা বিএনপির অপরাজনীতির নীতি। তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করতে করতে নিজেরাই প্রতারণার গোলকধাঁধায় দিশেহারা। কপটতা, শঠতা ও প্রতারণাপূর্ণ রাজনৈতিক কৌশলের জন্য জনগণ বিএনপির ওপর আস্থা হারিয়েছে। গণতন্ত্র, সংবিধান ও মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে বারবার ছিনিমিনি খেলায় জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেনি। আওয়ামী লীগ ও দেশের জনগণের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে যখন যে ওয়াদা করেছে তা বাস্তবায়ন করেছে। এ কারণে দেশের জনগণও বারবার আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে মির্জা ফখরুল বরাবরের মতো ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে চলেছেন। একমাত্র বিএনপি ও তাদের ঘিরে থাকা অগণতান্ত্রিক শক্তির কাছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার লাইভ ইস্যু হলেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধসম্পন্ন সকল মানুষের কাছে এটি একটি ডেড ইস্যু।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে আদালত অনেক আগেই ফয়সালা করে দিয়েছেন। বিএনপি নেতারা যতই আহাজারি করুক না কেন, মৃত এ সত্ত্বার জীবিত রূপ আর ফিরে আসবে না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ১০ ভাগের বেশি আসন পায়নি। বিএনপি নেতারা সেই দুঃস্বপ্নের ট্রমা আজও কাটিয়ে উঠতে পারেননি। তাই তারা আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আসন প্রাপ্তি নিয়ে পাগলের প্রলাপ বকছেন। এ দেশের জনগণ তাদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ করতে বারবার বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে বেছে নিয়েছে। দেশবাসী জানে, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার ধারিবাহিকভাবে ক্ষমতায় থাকলেই এ দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, বিএনপি বিভিন্ন প্যাডসর্বস্ব রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে ঐক্য গড়ার চেষ্টা করছে। তাদের ঐক্যের রূপ কী হয় তা আমরা বিগত দিনে দেখেছি। জগাখিচুড়ি মার্কা ঐক্য নিয়ে ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল কিন্তু জনগণ তাদের ওপর আস্থা রাখেনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ বরাবরই শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বের প্রতি ইস্পাত দৃঢ় সমর্থন প্রদান করে চলেছে। আগামীতেও এ দেশের জনগণের নিরঙ্কুশ সমর্থনে আমরা জয়ী হব।
