আজ, ১০ জুন(শনিবার) দুপুর একটায় আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের অনেক চিকিৎসক সম্মিলিত মেডিটেশনে অংশ নেয়।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে,ডিসেম্বর ২০২২-এ মেডিটেশনকে স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।জারি হয়েছে প্রজ্ঞাপন।সে আলোকে চিকিৎসকদের বর্তমানে করণীয় এবং চিকিৎসা সেবায় মেডিটেশন কীভাবে পরিপূরক হতে পারে তা নিয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের কনফারেন্স হলে বিশেষ বৈজ্ঞানিক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।বিষয়, “স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরুক হিসেবে মেডিটেশনের অন্তর্ভুক্তি: আমাদের করণীয়”।কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের অর্গানিয়ার কো-অর্ডিনেশন এস.এম.সাজ্জাদ হোসেনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান আলোচক ছিলেন ডা. দেওয়ান ওয়াসিফ জালাল।সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ও উপ পরিচালক ডাঃ সেখ ফজলে রাব্বি।বক্তারা বলেন,”উদ্বেগ, বিষণ্নতা, স্ট্রেস, অনিদ্রা, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও স্ট্রোক জাতীয় সমস্যা নিরসনে বিদ্যমান চিকিৎসা ব্যবস্থার পরিপূরক হিসেবে মেডিটেশনের অন্তর্ভূক্তি রোগ নিরাময়,প্রশমন ও প্রতিরোধকে ত্বরান্বিত করবে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে সময়োপযোগী ও যুগান্তকারী একটি সিদ্ধান্ত।চিকিৎসাশাস্ত্রের কারিকুলামেও মেডিটেশনের অন্তর্ভুক্তি জরুরী। চিকিৎসাশাস্ত্র প্রতিনিয়ত আধুনিক হচ্ছে।মেডিটেশন চর্চায় স্বাস্থ্যব্যয় সাশ্রয় হয়, যা জাতীয় স্বাস্থ্য অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।সারা পৃথিবীতে এটি স্বাস্থ্যসেবারই অংশ। বিজ্ঞানীদের মতে, মেডিটেশন হচ্ছে মস্তিষ্কের ব্যায়াম। দৌড়ালে যেমন পায়ের পেশী শক্তিশালী হয়, সাঁতার কাটলে বাইসেপ শক্তিশালী হয়; তেমনি নিয়মিত মেডিটেশন করলে মস্তিষ্কের কর্মকাঠামো সুবিন্যস্ত, সুসংহত, গতিময় ও প্রাণবন্ত হয়। পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য প্রয়োজন শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আত্মিক- এ চার ক্ষেত্রেরই সুস্থতা বা টোটাল ফিটনেস।সেমিনারে অংশগ্রহণকারী ডাক্তারের সংখ্যা প্রায় ৬০ জন। সেমিনারে”আপনার একটু পরামর্শই হয়তো তাকে বাঁচাবে”শীর্ষক ডকুমেন্টারি দেখানো হয়।”ভালো মানুষ ভালো দেশ”শীর্ষক মেডিটেশনে সকল ডাক্তাররা প্রশান্তির গুরুত্ব অনুধাবন করেন।