ঢাকাবুধবার, ২রা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নানা ধরনের চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের কারণে আগামী নির্বাচন একটা চ্যালেঞ্জ, মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
জুন ৫, ২০২৩ ১০:৪৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আগামী জাতীয় নির্বাচন একটা চ্যালেঞ্জ মন্তব্য করে দলীয় নেতাকর্মীকে সেভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নানা ধরনের চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের কারণে আগামী নির্বাচন একটা চ্যালেঞ্জ।

সোমবার গণভবনে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জীবন যখন একটু উন্নত হয়, তখনই এ দেশেরই কিছু কুলাঙ্গার দেশের বিরুদ্ধে সব জায়গায় বদনাম করে বেড়ায়। আর কিছু লোক আছে বিদেশি অনুদানের টাকা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দেয়। যারা আমাদের স্বাধীনতায় বিশ্বাসই করেনি, একাত্তরে গণহত্যা, লুটপাট ও নারী ধর্ষণ-নির্যাতন করেছে তারা এবং তাদের বংশধররা সারাক্ষণই দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেই যাচ্ছে। যারা স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশকে সমর্থন করেনি, তাদের সঙ্গেই এদের সব আত্মীয়তা। এটাই হচ্ছে এ দেশের জন্য সবচেয়ে দুর্ভাগ্য।

বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নির্বাচনে কারচুপি করা বিএনপির অভ্যাস। ভোট চুরি আর গণতন্ত্র হরণ করাই তাদের রেকর্ড। তাদের মুখেই এখন আবার গণতন্ত্রের কথা শুনি। যারা মিলিটারি ডিকটেটরের হাতে তৈরি দল, তাদের কাছে গণতন্ত্রের সবক শুনতে হয়, ভোটের কথা শুনতে হয়। চুরি করাই যাদের অভ্যাস, সেই চোরদের কাছে দেশের জনগণ কী শুনবে, কী দেখবে! ২০০১ সালের নির্বাচনেও তো কম কারচুপি হয়নি। ১৯৯৬ সালে এই খালেদা জিয়াকেই দেশের মানুষ ভোট চুরির অপরাধে বিতাড়িত করেছে। আবার ২০০৬ সালে নির্বাচনেও তিনি ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার বানিয়ে ভোট চুরি করতে গেছেন। তখনও জনগণের আন্দোলনেই তাদের বিদায় নিতে হয়েছে।

আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই সংগঠন যথেষ্ট শক্তিশালী। সংগঠন যেন আরও মজবুত থাকে– সেজন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধসহ মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর গৌরবোজ্জ্বল ত্যাগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ, মুক্তিযুদ্ধ করে যুদ্ধাহত হয়ে বাংলাদেশের পুনর্গঠন কাজ, দিনের পর দিন কারাবরণ ও অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করা– সবক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর যথেষ্ট অবদান রয়েছে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, যে কোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকেও আওয়ামী লাগীই মানুষের পাশে থাকে। অতীতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার চেষ্টা এবং স্বাধীনতার ইতিহাস, ‘জয় বাংলা’স্লোগান ও বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামের ইতিহাস মুছে ফেলা-এমন অনেক অপকর্মই করা হয়েছে। এরপরও সত্যকে কেউ মুছে ফেলতে পারেনি। আসলে সত্য এক সময় না এক সময় উদ্ভাসিত হবেই। সত্য কেউ মুছে ফেলতে পারে না। ৭ মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক মর্যাদা পেয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে। ‘জয় বাংলা’স্লোগান আবারও ফিরে এসেছে।

টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন-অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের বাইরে গেলে সবাই বাংলাদেশের উন্নয়ন বিষয়ে জানতে চায়, ‘আপনার ম্যাজিকটা কী?’ আমি বলি, ‘ম্যাজিক কিছু নেই এখানে। আমার শক্তিশালী সংগঠন আছে। আর আমাদের সংগঠনের শক্তিশালী নীতিমালা আছে। আমাদের একটা লক্ষ্য ও পরিকল্পনাও আছে। সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও জনগণকে নিয়ে উন্নয়নের কাজ করি বলেই আমরা সাফল্য আনতে পেরেছি।’

সরকারপ্রধান বলেন, আমরা বাংলাদেশকে বদলে দিতে পেরেছি। আজ ভিক্ষুকের জাতি বলে কেউ আর আমাদের অবহেলা করতে পারবে না। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের তৈরি হতে হবে, এগিয়ে যেতে হবে।