ঢাকাবুধবার, ২রা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নিত্যপণ্যের তুলনায় তামাকপণ্য হবে সস্তা

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
জুন ২, ২০২৩ ১২:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের মূল্যস্তর বাড়ানো হয়েছে। একটি স্তরে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে সিগারেটের দাম বাড়তে পারে। অন্যদিকে বিড়িতে নতুন করে কর না বাড়ানোয় পণ্যটির দাম নাও বাড়তে পারে। ফলে বিড়ি বিক্রি বেড়ে যেতে পারে। তা ছাড়া যে হারে সিগারেটের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, তা যথেষ্ট নয় বলে মনে করছে ধূমপান নিরুৎসাহিত করতে কাজ করা সংগঠনগুলো। তাদের ভাষ্য, দেশে নিত্যপণ্যের দাম যেভাবে বেড়েছে, তার তুলনায় সিগারেটের দাম কম বাড়িয়ে অর্থমন্ত্রী বরং পরোক্ষভাবে ধূমপানে উৎসাহী করেছেন।

এ পদক্ষেপের কারণে তরুণরা তামাক ব্যবহারে বিশেষভাবে উৎসাহিত হবে, তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু ও অসুস্থতা বাড়বে এবং সরকারের স্বাস্থ্য ব্যয় বাড়বে।

এদিকে সিগারেট, বিড়ি, গুল, জর্দাসহ সব ধরনের তামাকজাত পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎসে করহার ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া তামাকজাত পণ্য প্রস্তুত কোম্পানিগুলোর ৪৫ শতাংশ হারে আয়কর বহাল থাকছে।

 

 

প্রস্তাবিত বাজেটে নিম্ন স্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরামূল্য ৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি শলাকার দাম বাড়ানো হয়েছে মাত্র ৫০ পয়সা (১২.৫০ শতাংশ)। এই স্তরের করহার প্রায় অপরিবর্তিত রেখে কেবল মূল্যস্তর বাড়ানোর কারণে বর্ধিতমূল্যের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ তামাক কোম্পানির পকেটে চলে যাবে।

এ ছাড়া মধ্যম স্তরের ১০ শলাকা সিগারেটের দাম ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৭ টাকা (৩.০৮ শতাংশ), উচ্চ স্তরে ১১১ টাকা থেকে ১১৩ টাকা (১.৮০ শতাংশ) এবং প্রিমিয়াম বা অতি উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার দাম ১৪২ টাকা থেকে ১৫০ টাকা (৫.৬৩ শতাংশ) নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্পূরক শুল্ক অপরিবর্তিত রেখে প্রতি ১০ গ্রাম জর্দা ও গুলের খুচরামূল্য যথাক্রমে ৫ টাকা ও ৩ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় প্রজ্ঞার (প্রগতির জন্য জ্ঞান) নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, নিত্যপণ্যের তুলনায় সিগারেটের খুচরামূল্য বাড়ানো হয়েছে সামান্যই। সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে এই স্তরের সিগারেটের দাম বাড়িয়ে জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যেতে হবে। একই সঙ্গে প্রস্তাবিত বাজেটে ই-সিগারেট ও ভেপিং পণ্য আমদানির সুযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে, যা তরুণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াবে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া সংশোধনী দ্রুত চূড়ান্ত করার মাধ্যমে ই-সিগারেট ও ভেপিং পণ্য নিষিদ্ধ করতে হবে।