ঢাকাবুধবার, ২রা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

এবারও কিছু পেল না সংবাদপত্র শিল্প

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
জুন ১, ২০২৩ ১১:৩৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

এবারও বাজেট থেকে কিছু পেল না সংবাদপত্র শিল্প। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সংবাদপত্র শিল্পের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো ঘোষণা নেই। করপোরেট কর কিংবা নিউজপ্রিন্ট আমদানিতে শুল্ক কমানো, অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারসহ এ শিল্পের নানা দাবি থাকলেও অর্থমন্ত্রীর ঘোষণায় কোনো কিছুই উল্লেখ করা হয়নি।

সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) করপোরেট ট্যাক্স ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ করার পাশাপাশি সংবাদপত্র শিল্প বাঁচানোর জন্য কয়েকটি দাবি করেছিল। নিউজপ্রিন্টে বর্তমানে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক দিতে হয়, এর সঙ্গে অতিরিক্ত হিসেবে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট), ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি) ও ৫ শতাংশ অগ্রিম কর (এটি) রয়েছে। এতে বীমা, ব্যাংক, পরিবহন ব্যয়সহ প্রকৃত ব্যয় (ল্যান্ডেড) দাঁড়াচ্ছে নিউজপ্রিন্টের দামের ওপর ৩০ শতাংশের বেশি। বর্তমানে সংবাদপত্র শিল্পের সংকটময় পরিস্থিতিতে এই শুল্ক-কর প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছিল।

এ ছাড়া সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন আয়ের ওপর উৎসে আয়কর (টিডিএস) ৪ শতাংশ, এআইটি ৫ শতাংশ। নোয়াব বলছে, অধিকাংশ সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানের মোট আয়ের ৯ শতাংশ লভ্যাংশই থাকে না। তাই সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন আয়ের ওপর টিডিএস কমিয়ে ২ শতাংশ এবং কাঁচামালের ওপর উৎসে কর শূন্য শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে নোয়াব। কিন্তু এবারের বাজেটে কোনো দাবিই রাখা হয়নি।

নোয়াব জানিয়েছে, বিশ্বায়ন ও ডিজিটাল মাধ্যমের যুগে ছাপা সংবাদপত্র এমনিতেই রুগ্‌ণ শিল্পে পরিণত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে পত্রিকাগুলোর বিজ্ঞাপন ও প্রচারসংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় বিজ্ঞাপনের আয় দিয়ে উৎপাদন ব্যয়ের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। দেড় বছর আগেও প্রতি টন বিদেশি নিউজপ্রিন্টের দাম ছিল ৫৭০ ডলার; এখন তা ৭০০ ডলারের বেশি। মার্কিন ডলারের বিনিময়মূল্য ছিল ৮৫ টাকা, যা এখন ১০৯ টাকায় উঠেছে। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সংবাদপত্রকে ভয়ংকর সংকটের মুখে ফেলেছে। তারপরও এ শিল্পকে সরকারি প্রণোদনার বাইরে রাখা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সহযোগিতা ছাড়া এ শিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।