ঢাকাবুধবার, ২রা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জিয়াউর রহমান উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো আবির্ভূত হয়েছিলেন : ডাঃ শাহাদাত হোসেন

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
মে ৩০, ২০২৩ ১০:০৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীর দিনটি জাতীয় জীবনে খুবই শোকাবহ দিন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে দেশী বিদেশী ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে বিপদগামী সেনা সদস্যের হাতে তিনি নির্মমভাবে শাহাদত বরণ করেন। জিয়াউর রহমান বীর উত্তম ছিলেন স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সততার প্রতীক। জাতি যখন নেতৃত্বশূন্য দিশেহারা তখনই জিয়াউর রহমান উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো আবির্ভূত হয়েছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন আবার অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিলেন। হানাদার বাহিনীর অতর্কিত হামলায় নেতৃত্বহীন হয়ে পড়ে দেশের জনগন। এমনি এক অনিশ্চয়তার মধ্যে ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে তিনি পাক বাহীনির বিরুদ্ধে “উই রিভোল্ট” বলে বিদ্রোহ ঘোষনা করেন। অষ্টম ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকদের নিয়ে প্রতিরোধের মশাল জালিয়েছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জিয়াউর রহমান এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।

 

তিনি মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে নগরীর ষোলশহরস্থ বিপ্লব উদ্যানের বিপ্লব বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণকালে এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, আমরা দেশের মানুষের ভোটাধিকার, মৌলিক অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামের রাজপথে আছি। আমরা দেখেছি গতকাল চাঁন্দগাঁও থানায় একটি ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা -হামলা নির্যাতন নিপীড়ন করে বিএনপিকে এই স্বৈরাচার সরকারের পতন আন্দোলন থেকে সরিয়ে রাখা যাবে না। আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম চলমান আছে।

যতক্ষণ না পর্যন্ত ভোটার অধিকার,গণতন্ত্র ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না। এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, জিয়াউর রহমান একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে এদেশের সমৃদ্ধির প্রতিটি ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার সততা ও দেশপ্রেম ছিল সকল প্রশ্নের ঊর্ধ্বে। তার সততা নিয়ে তার চরম শত্রুও কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি।

২৫ মার্চের ভয়াল রাতে হানাদার বাহিনীর আক্রমণের সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলে আজো দেশবাসীর হৃদয়ে অমর হয়ে আছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইস্কান্দার মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, বায়েজিদ থানা বিএনপির সভাপতি আবদুল্লাহ আল হারুন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের জসিম, জসিম উদ্দিন জিয়া, মহানগর জাসাসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু, সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ শিপন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া প্রমূখ।