ঢাকাবুধবার, ২রা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ফাইল তলব যমুনা নদী ছোট করা প্রকল্পের

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
মে ২৮, ২০২৩ ৯:৩৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

যমুনা নদীকে ছোট করার প্রজেক্ট ফাইল তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১০ দিনের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে (পাউবো) এ-সংক্রান্ত সব নথি আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।

১১ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে ‘যমুনা নদী ছোট করার চিন্তা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) হাইকোর্টে রিট করে। ২১ মে ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট যমুনা নদী ছোট করার জন্য গ্রহণ করা প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের নামের তালিকা চান। পাশাপাশি প্রতিবেদনটি সত্য কিনা এবং ওই প্রকল্প চূড়ান্ত করা হয়েছে কিনা, তাও জানতে চাওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার এসব তথ্য জানাতে আদালতে সময় চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এ সময় হাইকোর্ট এ প্রকল্পের সব ফাইল তলব করেন।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, যমুনা নদী প্রতিবছর বড় হয়ে যাচ্ছে। বর্ষার সময় নদীটি ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার হয়ে যায়। এত বড় নদীর প্রয়োজন নেই। তাই এটির প্রশস্ততা সাড়ে ৬ কিলোমিটার সংকুচিত করা হবে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং প্রাকৃতিক পানিপ্রবাহের অন্যতম উৎস যমুনাকে ছোট করার এমন চিন্তা এসেছে খোদ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্তাদের কাছ থেকে। এজন্য তারা ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পও প্রণয়ন করেছেন। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে যখন বারবার ব্যয় সংকোচনের তাগিদ দেওয়া হচ্ছে, সে সময় মন্ত্রণালয়টি এমন প্রকল্প নিয়েছে কোনো ধরনের গবেষণা ছাড়াই। বিশেষজ্ঞরা বিরল এ প্রকল্পকে অবাস্তব বলছেন।

প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ১০৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নেওয়া হবে ৮৯৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আর বাংলাদেশ সরকার দেবে ২১৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। বাস্তবায়ন মেয়াদ ধরা হয়েছে চলতি বছর থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত।