ঢাকাশনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে বেসামরিক নাগরিকদের বিচার করা বেআইনি : ইমরান খান

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
মে ২৬, ২০২৩ ১:৫৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে বেসামরিক নাগরিকদের বিচার করা বেআইনি বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি আর্মি অ্যাক্ট ও অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে শান্তিকালীন বেসামরিক নাগরিকদের গ্রেপ্তার, তদন্ত ও বিচারকে সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করার জন্য সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধও করেছেন।

পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির চেয়ারম্যান ইমরান খান এসব মন্তব্য করেছেন। এর পাশাপাশি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হামিদ খানের মাধ্যমে আদালতে একটি আবেদন পাঠিয়েছেন তিনি। সেখানে ইমরান খান ৯ ও ১০ মের সহিংস ঘটনার তদন্তের জন্য বিচারকদের সমন্বয়ে একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের নির্দেশ দিতে সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করেছেন।

আবেদনপত্রে ইমরান আরও বলেন, কমিশনের উচিত দায়বদ্ধতার উদাহরণ সৃষ্টি করা এবং ওই সহিংস ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা। কারণ ওই দুই দিনের সহিংস ঘটনায় অনেক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পাকিস্তানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।

এর আগে গত সোমবার পিটিআইয়ের পক্ষে অ্যাডভোকেট গোহর খান একই ধরনের আবেদন করেছেন।

নতুন আবেদনে ইমরান খান দাবি করেছেন, পাঞ্জাব, বেলুচিস্তান, খাইবার পাখতুনখাওয়া ও ইসলামাবাদে ‘অঘোষিত’ সামরিক আইন জারি করা বা সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তার আহ্বান জানানো অসাংবিধানিক ও বেআইনি পদক্ষেপ।

উল্লেখ্য, গত ৯ মে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রতিবাদে তাঁর সমর্থকেরা দেশটির বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর চালায়। ভাঙচুর চালানো হয় নানা সামরিক স্থাপনায়। এমনকি রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দপ্তরেও পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীরা ভাঙচুর চালান।

ইতিমধ্যে ইমরান খানকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়। কিন্তু সেনাবাহিনীর কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় সামরিক আইনে বিচার করার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও সেনাপ্রধান আসিম মুনির।

এমন পরিস্থিতিতে পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতারা সামরিক বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন। সামরিক বিচার এড়াতেই পিটিআই নেতারা এরই মধ্যে দল ত্যাগ করতে শুরু করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আকস্মিক এসব পদত্যাগের ঘটনায় ইমরান খান বলেন, ধরপাকড় চালিয়ে তাঁর দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের দল থেকে পদত্যাগের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। গত বুধবার (২৪ মে) লাহোরের নিজ বাসভবন থেকে সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য আমি একটা কমিটি গঠন করব। এই কমিটি সরকারের যেকোনো ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। সরকারের কাছে আমার প্রতিনিধিরা দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। এক. তারা যদি মনে করে আমি রাজনীতি ছাড়লে তাদের দাবি অনুযায়ী দেশের কল্যাণ হবে, তাহলে আমি রাজনীতি ছাড়ব। দুই. অক্টোবরে নির্বাচন হলে তা দেশের জন্য কতটা উপকারী? তারা যদি আমাদের এ দুটি বিষয়ে বোঝাতে সক্ষম হয়, তাহলে আমরা তাদের সবকিছু মেনে নেব।’