ঢাকামঙ্গলবার, ১লা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পুলিশি নিরাপত্তা প্রত্যাহার যুক্তরাষ্ট্রসহ ৪ রাষ্ট্রদূতের

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
মে ১৫, ২০২৩ ৯:০০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারতসহ ৪ দেশের রাষ্ট্রদূতদের দেওয়া অতিরিক্ত পুলিশি নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। দেশের পরিবেশ শান্ত থাকায় বাড়তি এই সুবিধার আর প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।

আজ সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের পরিবেশ এখন অন্যান্য অনেক সময়ের চেয়ে শান্ত। তাই অতিরিক্ত এ সুবিধার আর প্রয়োজন নেই। পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেলের মতো মেগাপ্রকল্পগুলোর সুরক্ষায় এখন আমাদের অতিরিক্ত পুলিশ প্রয়োজন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকারি খরচে বিদেশি কোনো রাষ্ট্রদূতকে বাড়তি নিরাপত্তা (এসকর্ট) দেওয়া হবে না। কারণ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আমাদের দেশে অনেক ভালো আছে। তাছাড়া কোনো দেশেই বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্রদূতকে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হয় না। তবে বিদেশি কূটনীতিকরা তাদের খরচে এসকর্ট হায়ার করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে টাকা দিয়ে আনসার ব্যাটালিয়নের এসকর্ট নিতে পারবেন।

এর আগে গতকাল সোমবার এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগ সূত্র জানায়, ঢাকায় নিযুক্ত এসব দেশের রাষ্ট্রদূতের পুলিশ ‘এসকর্ট’ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এ তথ্য জানিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ইয়াসমিন সাইকা পাশা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এসব রাষ্ট্রের পুলিশ এসকট প্রত্যাহার করা হয়েছে।’

পুলিশ জানায়, কূটনৈতিক এলাকার দূতাবাস থেকে কোনো দেশের কূটনীতিকরা যখন জরুরি কাজে অন্য কোথাও যেতেন তখন বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ‘পুলিশ এসকট’ দেওয়া হত তাদের। তবে এসব রাষ্ট্রদূতরা পরবর্তিতে যদি এই সুবিধা পেতে চান তাহলে পররাষ্ট্র মন্ত্রলয়ে আবেদন করে তাদের অনুমতি সাপেক্ষে সেটা পেতে পারেন তারা।

হঠাৎ তাদের এসকট সুবিধা প্রত্যাহারের কারণ জানতে চাইলে পুলিশ জানায়, ঢাকায় কূটনৈতিক জোনে ৫৩টি দেশ রয়েছে। প্রতিটি দেশের কূটনীতিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দেখভাল করতে হয়। এতে অনেক ‘ফোর্স’ মোতায়েন রয়েছে। এর বাইরে কোনো বিশেষ দেশের জন্য আলাদা করে ফোর্স দেওয়ার মতো বাড়তি পুলিশ নেই।

পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বিশেষ এসকর্টের শুধু পুলিশ সদস্যই নয় বাড়তি গাড়িসহ আরো অনেক সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়। শুধু এই চারটি দেশ নয়, সব দেশের কূটনিতিকরা যদি এই বাড়তি সুবিধা চান তাহলে সেটা দেওয়া সম্ভব নয়।