ঢাকারবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে যা বললেন আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল

আবহাওয়া ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
মে ১৩, ২০২৩ ৩:১৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঘূর্ণিঝড় “মোখা”র প্রভাবে সেন্টমার্টিন দ্বীপ তার পূর্বের অবস্থা নাও থাকতে পারে । বিশেষ করে, সেন্ট মার্টিন দ্বীপের জন্য সবচেয়ে বেশি যেটি হচ্ছে যে জলোচ্ছ্বাস। ১৫ থেকে ২০ ফুট উচ্চতার যে জলোচ্ছ্বাস, এই জলোচ্ছ্বাসের কারণে প্রথমত দ্বীপের সম্পূর্ণটাই প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কী ধরনের ক্ষতি করতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’
দুই নম্বর হচ্ছে, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে এই যে ছোট ছোট দোকানগুলো যেগুলো আছে, আমরা জানি, বিভিন্ন শুটকির দোকান, এই যে কসমেটিকসের দোকান রয়েছে এবং খেলনা বা অন্যান্য, এগুলো পুরো একদম ভেসে যাবে। আর এর পরে হচ্ছে যে, জেলে পল্লির যে বাড়িঘরগুলো, যেগুলো বাঁশ এবং কাঠের তৈরি, সেগুলো নষ্ট হয়ে যাবে পুরোপুরি।

আর সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার বেগে (ঘূর্ণিঝড়) আঘাত করার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে দ্বীপটার প্রচণ্ড অংশ ভেঙে যাবে, ধসে যাবে। ঠিক আছে? এটা ক্ষয় হয়ে যে ভাঙনের সৃষ্টি হবে দ্বীপে, আমি জানি না ঠিক কী পরিমাণ ক্ষতি হবে, কিন্তু আমি যেটা আশঙ্কা করতেছি, ব্যাপক পরিমাণ ক্ষতি হবে দ্বীপের পুরো অর্ধেক অংশ ভেঙে যেতে পারে। বিশেষ করে, পূর্ব দিক থেকে, যেই দিক থেকে বাতাস আসবে, সেই দিকের অংশের হচ্ছে পুরোটাই মানে এই গতিবেগের বাতাসের আঘাত কখনোই হয়নি এর পূর্বে।

আমরা জানি যে, দ্বীপের ব্যাপক ক্ষতি করে ফেলেছি গত ১০/১২ বছরে বিভিন্ন প্রকারে। দ্বীপের গাছপালা কেটে ফেলে দ্বীপের একদম গোড়া পর্যন্ত মাটি কেটে বিল্ডিং তৈরি করছি। অর্থাৎ এতে যেটা হবে, দ্বীপের মধ্য দিয়ে বাতাসের চলাচলটা সমস্যা হবে এবং এই কারণে দ্বীপের একদম যে কিনারায়, অর্থাৎ বন্ধ করে যে বাড়ি তৈরি করা হয়েছে, সেগুলোই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অর্থাৎ এই স্থাপনাগুলো একটাও থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।

আর এর পরে যেটি হচ্ছে যে, দ্বীপের চতুর সাইডে যে জাহাজগুলো আছে, যে জেলে নৌকাগুলো, সে নৌকাগুলোর পুরোটাই হারিয়ে যাবে। যত শক্তিশালী চেইন দিয়ে বাঁধা হোক না কেন, এগুলো পুরোটাই ভেসে যাবে। কোথায় যাবে, এগুলোর কোনো ঠিক নেই।

আবহাওয়াবিদ:
মোস্তফা কামাল পলাশ