ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিজিএমইএর সহসভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘পূর্বপ্রস্তুতি বিষয়ে সদস্যভুক্ত ২৪৭টি কারখানায় যোগাযোগ করা হয়েছে। যেসব কারখানায় অর্ডার কম তাদের আজ বিকেল ৪টার মধ্যে ছুটি দিতে অনুরোধ করেছি। এ ছাড়া রবিবার ঘূর্ণিঝড়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আজকের (শনিবার) মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ করেছিলাম। যতটুকু মনে হচ্ছে শিপমেন্ট ঝামেলা নেই এমন বেশির ভাগ কারখানা কাল বন্ধ থাকবে।’
এদিকে চট্টগ্রাম ইপিজেডে আগামীকাল রবিবার বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ থাকার সার্কুলার দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুস সোবহান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে এলএনজি গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ইপিজেডের অভ্যন্তরীণ ৭২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদনও বন্ধ হয়ে গেছে। এর পরও কিছু কারখানার শিপমেন্ট শিডিউলের কারণে নিজস্ব জেনারেটরের মাধ্যমে কারখানা চালু রাখবে। যদিও ইপিজেডের অর্ধেকের বেশি কারখানা রবিবার ছুটি ঘোষণা করেছে।’
আব্দুস সোবহান আরো বলেন, ‘আবহাওয়া অধিদপ্তরের যে রিপোর্ট তাতে মনে হচ্ছে চট্টগ্রাম কিছুটা সেফজোনে আছে। তা ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের মূল আঘাত সম্ভবত দুপুরের পর আসবে। তাই শিপমেন্টের চাপ আছে এমন কিছু কারখানা দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা রাখতে পারে। তবে যা-ই হোক, কারখানা চালু বা বন্ধ থাকা পুরোটাই ঘূর্ণিঝড়ের মাত্রার ওপর নির্ভর করবে।’