দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডসহ ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটিত সকল অপরাধ দমনের লক্ষ্যে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) করেছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে কথা বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের তথ্যসন্ত্রাসী ও অপরাধীদের পক্ষাবলম্বন করেছেন।’
আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
কারও বাক্স্বাধীনতা খর্ব নয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে গণমাধ্যমশিল্পের সম্ভাবনার এক স্বর্ণদুয়ার উন্মোচিত করেছেন। সাংবাদিকসহ সকলের বাক্স্বাধীনতার অবারিত সুযোগ করে দিয়েছেন। সেই সুযোগে একটি গোষ্ঠী সকল ধরনের জবাবদিহি ও দায়িত্বশীলতা এড়িয়ে স্বাধীনতার নামে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে দেশবিরোধী অপপ্রচারের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডসহ ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটিত সকল অপরাধ দমনের লক্ষ্যে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছে। পৃথিবীর দেশে দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে অনুরূপ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রয়েছে।
মিথ্যা মামলা দিয়ে নেতা-কর্মীদের হয়রানি করছে বিএনপি মহাসচিবের এমন অভিযোগ কল্পনাপ্রসূত বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রুটিন কাজের অংশ বলেও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি তাঁদের সন্ত্রাসী নেতা-কর্মীদের রক্ষা করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আদালত ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলে থাকে।
গায়ের জোরে নির্বাচন করা যাবে না মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের রায়ের ওপর আস্থাশীল এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ব্যত্যয় ঘটিয়ে গায়ের জোর দেখিয়ে কখনো রাষ্ট্রক্ষমতা আঁকড়ে ধরার অপচেষ্টা করিনি আমরা। বিএনপি বারবার গায়ের জোর দেখিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার অপচেষ্টা করেছে।’