ঢাকাবুধবার, ৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভেঙে গেল সাত দলীয় জোট-গণতন্ত্র মঞ্চ

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
মে ৬, ২০২৩ ৯:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

৯ মাসের মাথায় ভেঙে গেল সাত দলীয় জোট-গণতন্ত্র মঞ্চ। ড. রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদ এই জোট থেকে বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শনিবার (০৬ মে) সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে দলটির সদস্য সচিব নুরুল হক নুর সাংবাদিকদের বলেন, গণঅধিকার পরিষদ এখন আর গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে নেই। আমরা শুধু গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে কর্মসূচি করব না। এখন থেকে দলীয় কর্মসূচি ছাড়াও আন্দোলনরত অন্যান্য দল বা জোটের সঙ্গেও কর্মসূচি করব।

দলটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় ভোটারবিহীন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের নামে রাষ্ট্রের অর্থ খরচ করে জনগণের সাথে প্রহসনের নির্বাচন জনগণকে বর্জনের আহ্বান জানানো হয়। একই সাথে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বেগবান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, সে লক্ষ্যে শুধু ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ এর সাথে জোটবদ্ধ কর্মসূচীতে সীমাবদ্ধ না থেকে গণঅধিকার পরিষদের নিজস্ব উদ্যোগে চলমান যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সকল দলের সাথে রাজপথে সমন্বিত কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

আগামী ১৫ মে কেন্দ্রীয় কার্যলয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কর্মময় জীবনের ওপর আলোচনাসভা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত বছরের ৮ আগস্ট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সাত দলীয় জোটের গণতন্ত্র মঞ্চের আত্মপ্রকাশ হয়। জোটভুক্ত দলগুলো হলো- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, ভাষানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।

গণঅধিকার পরিষদ বেরিয়ে যাওয়ায় এখন গণতন্ত্র মঞ্চে ছয়টি দল থাকল। এখন থেকে গণঅধিকার পরিষদ এককভাবে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে, সেই সঙ্গে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে এককভাবে অংশগ্রহণ করবে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, গণঅধিকার পরিষদের এমন সিদ্ধান্তের কথা আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও পাইনি। তবে গণঅধিকার পরিষদ নেতাদের বেশ কিছু অরাজনৈতিক বক্তব্য, রাজনৈতিক তৎপরতা এবং মঞ্চের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজের ব্যাপারে শরীক দলগুলোর মধ্যে অস্বস্তি ছিল, আপত্তি আছে। এ নিয়ে বেশ কিছু সমালোচনা আছে। এসব আমাদের মধ্যে বিবব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। আগামীকাল রবিবার গণতন্ত্র মঞ্চের বৈঠক রয়েছে। ওই বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের অসাংগঠনিক আচরণসহ আরো বিষয় মিলে আলোচনা হওয়ার কথা।