জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা এবং বাংলাদেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের বিরূদ্ধে একটি রাজনৈতিক দল বা পক্ষ হয়ে কাজ করার অভিযোগ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য আমার কিছু বলার নেই। বিশদভাবে আমি বলতে চাই, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বা আঞ্চলিক বিষয় কিংবা অগ্রাধিকারে প্রভাব পড়তে পারে এমন অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ে সৎভাবে আলোচনা করাকে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখে না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা যেমন বলেছি, বাংলাদেশ এবং এর পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা এক প্রার্থীর বিরূদ্ধে দাঁড়ানো আরেক প্রার্থীকে বা একটি দলের বিরূদ্ধে আরেকটি দলের অবস্থানকে সমর্থন দেই না।’
বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ২০২২ সালে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করেছি। আর আমরা বিশ্বাস করি, এখানে এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা আমরা আমাদের সহযোগিতাকে আরো গভীর করতে পারি। এটি শুধু বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নয়, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গেও।
তিনি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো গভীর করা, ইন্দো-প্যাসিফিক সম্পর্কিত নিরাপত্তার মতো বিষয়কে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন।
নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বেদান্ত প্যাটেল আরো বলেন, বিশ্বের যেকোনো দেশের জন্য আমাদের প্রত্যাশা যে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে পরিচালিক হোক।
তিনি বলেন, এ বছর যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫১তম বছর। আমরা বিশ্বাস করি, অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, নিরাপত্তা সহযোগিতার মতো বেশ কিছু খাত আছে যেগুলোতে এই অংশীদারি আরো শক্তিশালী করা দরকার।