বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে বর্তমানে যে পরিমাণ কয়লা মজুদ রয়েছে তা দিয়ে সর্বোচ্চ ১৫ দিন চলবে। যদি এর মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করে কয়লা আমদানি করতে না পারে, তাহলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুটি ইউনিটই বন্ধ হয়ে যাবে। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের বড় এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে দেশ আবারও লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে যাবে।
কয়লা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কম্পানি লিমিটেডের (বিসিপিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ এম খোরশেদুল আলম গতকাল রবিবার রাতে বলেন, ‘বকেয়া জমার কারণে দুই-তিন দিন আগে তারা (চীনের বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ) আমাদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছে বকেয়া বিল পরিশোধ না করা পর্যন্ত তারা আর কয়লা দেবে না। আমরা বিষয়টি জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিপিডিবি) চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছি। বর্তমানে যে কয়লা মজুদ রয়েছে তা দিয়ে সর্বোচ্চ ১৫ দিন কেন্দ্রটি চালু রাখা যাবে। এর মধ্যে যদি বকেয়া পরিশোধ করে কয়লা আমদানি করা না যায়, তাহলে কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে।’
পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি তৈরি করেছে বিসিপিসিএল, সিএমসি ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কম্পানি লিমিটেডের (এনডাব্লিউপিজিসিএল) মধ্যে ৫০:৫০ যৌথ উদ্যোগে। পায়রার বিদ্যুৎ বরিশাল ছাড়াও ঢাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
বিসিপিসিএল সূত্রে জানা গেছে, পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাকিতে কয়লা কেনে। ছয় মাস পরে কয়লার দাম পরিশোধ করতে হয়। পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সমান মালিকানা রয়েছে বাংলাদেশের সরকারি প্রতিষ্ঠান নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কম্পানি ও চীনের সরকারি প্রতিষ্ঠান সিএমসির। কেন্দ্রটিতে যে কয়লার প্রয়োজন হয় তার জোগান দেয় সিএমসি। সিএমসির কাছে বাকিতে কয়লা কেনে পায়রা।