ঢাকাসোমবার, ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দুপুরের পর থেকে তেমন ভিড় নেই কমলাপুর স্টেশনে

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
এপ্রিল ২১, ২০২৩ ৪:০৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাত পেরোলেই ঈদ। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে শেষ মুহূর্তে গ্রামের বাড়ির দিকে ছুটছে শহরের মানুষ। তাই আজ শুক্রবার ভোর থেকেই কমলাপুর রেল স্টেশনে মানুষের ভিড় দেখা গেলেও দুপুর হতেই সেই বিড়ম্বনা কেটে গেছে। তবে প্রায় সব ট্রেনই কিছুটা বিলম্বে প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে গেছে। ভোরের পর টিকিট কাউন্টারগুলোতেও খুব একটা ভিড় দেখা যায়নি।

শুক্রবার রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকে কমলাপুরে ঘরমুখো মানুষ ট্রেনের অপেক্ষায় রয়েছেন। স্ট্যান্ডিং টিকিটের জন্য লাইনে ছিলেন অনেকেই। তবে সকালের পর এই অবস্থা অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। দুপুরের পর থেকে স্টেশনে তেমন ভিড় নেই। গতকাল ট্রেনের ছাদে করে যাত্রীরা গেলেও আজ সকালে নীলসাগর এক্সপ্রেস ছাড়া আর কোনো ট্রেনের ছাদে যাত্রী দেখা যায়নি।

এ দিকে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা দেরিতে ৯টা ৩০ এ ছেড়ে গেছে। দেওয়ানগঞ্জগামী দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল ৯টা ২৫ মিনিটে। কিন্তু সেটি ছেড়ে গেছে ৯টা ৪৫ মিনিটে। এ ছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী তিতাস কমিউটার ১৫ মিনিট বিলম্বে ১০টায়, উত্তরবঙ্গগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস এক ঘণ্টা বিলম্বে সকাল সাড়ে ৭টায় এবং একতা এক্সপ্রেস ৪০ মিনিট দেরিতে ১০টা ৫০ মিনিটে প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে গেছে।

গত দুই দিনের মতো আজ স্ট্যান্ডিং টিকিটের ভিড় নেই। স্ট্যান্ডিং টিকিটের লাইনে স্বস্তিতেই টিকিট নিতে পারছেন যাত্রীরা। এবারের ব্যবস্থাপনায়ও সন্তোষ জানিয়েছেন যাত্রীরা। যাত্রীদের সহযোগিতার জন্য স্টেশনে কাজ করছেন স্কাউটসহ রেলের নিরাপত্তা কর্মীরা।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘এবার ট্রেনের আগাম টিকিটে শতভাগ অনলাইনে বিক্রি করায় যাত্রীদের ঈদযাত্রা স্বস্তির হয়েছে। শিডিউল বিপর্যয় ছাড়াই ট্রেনগুলো প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে গেছে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা যাতে না হয়, সে জন্য রেলওয়ের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আজ সকালে কিছুটা ভিড় ছিল। উত্তরবঙ্গগামী ট্রেন চলে যাওয়ার পর স্টেশনের চিত্র স্বাভাবিক।’

রেলের আগাম টিকিট শতভাগ অনলাইনে বিক্রি করায় এবার নেই কমলাপুরের চিরচেনা ভিড়। টিকিট ছাড়া কাউকে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় প্ল্যাটফর্মেও ভিড় নেই। প্রতিবছর রেল কর্তৃপক্ষের প্রতি মানুষের ক্ষোভ থাকলেও এবার অনেকটাই স্বস্তিতে বাড়ি যেতে পেরে রেল কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে সাধারণ মানুষ।