ঢাকাবৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হাজার মাসের চেয়ে উত্তম পবিত্র শবে কদরের রাত আজ

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
এপ্রিল ১৮, ২০২৩ ৫:৫৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রহমত ও মাগফিরাতের পর শেষ হতে চলেছে নাজাত। বিদায় নিতে যাচ্ছে সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান। আজ মঙ্গলবার ২৬তম রোজা। আজ দিবাগত রাতে সারা দেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবেকদর। 

লাইলাতুল কদর বা শবেকদর অর্থ হচ্ছে সম্মান ও মর্যাদাপূর্ণ রাত। ইসলামী শরিয়ত মতে, এটি বছরের সবচেয়ে মহিমান্বিত ও মর্যাদাপূর্ণ একটি রাত। এটি হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। এই রাতে লাওহে মাহফুজ থেকে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়।

এই রাত প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনের সুরা কদরের শুরুতে বলা হয়েছে, ‘আমি কোরআন অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে। আপনি কদরের রাত সম্পর্কে কী জানেন? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।’ হাদিসের ভাষ্য মতে, কদরের রাতটি রমজানের শেষ ১০ দিনের যেকোনো বিজোড় রাত হতে পারে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান কোরো।’ তিনি আরো বলেছেন, রমজানে এমন এক রাত আছে, যার ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম। (বুখারি)

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা মহিমান্বিত রাতটি নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরসহ বিভিন্ন ইবাদতে কাটিয়ে থাকেন। দেশের বেশির ভাগ মসজিদে এই রাতে তারাবি নামাজে কোরআন খতম হয়। এরপর সদকা, জাকাতসহ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার পর দোয়া করে থাকেন ইমাম ও খতিবরা। এই রাতে রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি ও গুনাহের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন সবাই।

পবিত্র শবেকদর উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্বের সব মুসলমানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এক বাণীতে বলেন, ‘মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের অপার সুযোগ নিয়ে বরকতময় পবিত্র শবেকদর আমাদের মাঝে সমাগত। মহিমান্বিত এই রাতে আমি মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে দেশবাসীসহ পুরো মুসলিম উম্মাহর জন্য মাগফিরাত ও কল্যাণ কামনা করছি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর এক বাণীতে বলেন, ‘আসুন, সব ধরনের অন্যায়, অনাচার, হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠা করি। পবিত্র এই রাতে আমি মহান আল্লাহর কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম জাহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করছি।’