বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। দুদিন আগে তার বিষয়ে সুর বেশ নরমই ছিল বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের। তবে সেই অবস্থান থেকে এখন প্রায় ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গেছেন তিনি।
নিষিদ্ধ সোহাগকে আর কখনো বাফুফেতে দেখা যাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, কেলেঙ্কারির দায় সোহাগের নিজের। সভাপতি হিসেবে তিনি কোনো দায় নেবেন না।
সংবাদসম্মেলনে কথা বলেন বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি ও ফাইন্যান্স কমিটির প্রধান সালাম মুর্শেদীও। এ সময় তিনি দাবি করেন বাফুফেতে কোনো দুর্নীতিই হয়নি।
সালাম মুর্শেদীও সোহাগের কেলেঙ্কারির দায় নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, ‘আমরা কোনো দায় নিব না। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ফাইন্যান্স কমিটির এটা কোনো দায় না। আমরা বলব, সে প্রোপার প্রক্রিয়াটা অনুসরণ করেনি, কমপ্লায়েন্সটা অনুসরণ করেনি।’
দুর্নীতির বিষয়ে বাফুফেকে নিজেদের মতো করে তদন্ত করার নির্দেশনা দিয়েছিল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, ১০ সদস্যের তদন্ত কমিটি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়।
সভায় বাফুফের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বর্তমান প্রোটোকল ম্যানেজার ইমরান হোসেনকে। সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নতুন সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ দেওয়া হবে।