বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সরকার এখন আগুন নিয়ে খেলা শুরু করেছে। একদিকে তারা বাজারে বাজারে আগুন দিচ্ছে, অন্যদিকে জনগণের স্বপ্ন-ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষাগুলো আগুনে পুড়িয়ে দিচ্ছে। এখন বাঁচার একটি মাত্র পথ, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন’।
তিনি বলেন, ‘জনগণকে সম্পৃক্ত করে এ ভয়াবহ দানব সরকারকে সরিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেল গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যে আশা-আকাঙ্ক্ষা, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল; আজ ৫২ বছর পরও সেই গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য আমাদের সংগ্রাম করতে হচ্ছে। যে আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা যুদ্ধে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছিল, গণতন্ত্র তাদের হাতেই আজ ভূলুণ্ঠিত। তারাই আজ রাষ্ট্রকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করছে।’
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা আজ রাজনীতিতে দেউলিয়াত্বের মধ্যে পড়েছেন। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তারা সংবিধান পরিবর্তন করেছে। কাদের স্বার্থে সংবিধান পরিবর্তন করা হয়েছে সেটা সবাই জানেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলব। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ সরকার বিদায় করা হবে। এরপর সত্যিকার অর্থে একটি নির্বাচনের আয়োজন করা হবে যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে। জনগণ ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।’
তিনি বলেন, ‘আবার শুরু হয়েছে অত্যাচার, নির্যাতন, গ্রেপ্তার। কিন্তু কোনো গ্রেপ্তার হত্যা নির্যাতন আমাদের আটকে রাখতে পারবে না। দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা বিজয় ছিনিয়ে আনব।’
জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘আমরা জনগণের কাছে সবাই ওয়াদাবদ্ধ। এ সরকারের হাত থেকে মানুষকে উদ্ধার করতে হবে। শ্রমিক-দিনমজুর সবাই মিলে নামতে হবে। সকালে কোনো নিউজ হলে দুপুরে তা আর পাওয়া যায় না অনলাইনে। গণমাধ্যমকে জোর দিয়ে কিছু বলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির নজরুল ইসলাম খান, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহসম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীরপ্রতীক, জাগপার লুৎফর রহমান, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় দলের এহসানুল হুদা, গণফোরামের মোস্তফা মহসিন মন্টু, বিকল্প ধারার নুরুল আমিন বেপারী, গণদলের এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী।
এ ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, গণ অধিকার পরিষদের রেজা কিবরিয়া, নুরুল হক নুর, ভাসানী অনুসার পরিষদের রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।
