বাংলাদেশে এর আগে এত বড় গভীরতার জাহাজ কোনো জেটিতে ভেড়ার রেকর্ড নেই। চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে এখন সর্বোচ্চ ১০ মিটার উচ্চতা ও ২০০ মিটার দীর্ঘ জাহাজ ভেড়ার সুযোগ আছে। পায়রা বন্দরেও গত সপ্তাহে ভিড়েছে ১০.১০ মিটার গভীরতার জাহাজ। কিন্তু ১৪ মিটার গভীরতার জাহাজ এটাই প্রথম। আগামী ২৪ এপ্রিল জাহাজটি মাতারবাড়ীতে ভিড়বে। এরপর সেখান থেকে কয়লা নামিয়ে পাশের কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নেওয়া হবে। এই কয়লা দিয়েই ওই প্রকল্পে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্প ব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন আতাউল হাকিম সিদ্দিকী বলেন, ‘এই জাহাজের মাধ্যমে নতুন মাইলফলক করতে যাচ্ছে মাতারবাড়ী। জাহাজের গভীরতা, দৈর্ঘ্য ও পণ্যের পরিমাণ সব দিক থেকেই রেকর্ড গড়বে এই জাহাজ। ২৪ এপ্রিল জাহাজটি জেটিতে ভিড়বে, এরপর জাহাজ থেকে নামানো হবে কয়লা।’
তিনি বলেন, এর আগে মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে ১১২টি জাহাজ ভিড়েছিল, কিন্তু সেই জাহাজে ছিল বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণসামগ্রী। এবারই প্রথম জেটিতে ভিড়ছে কয়লাবাহী জাহাজ। এরই মধ্যে এত বড় জাহাজ জেটিতে ভেড়ার জন্য প্রবেশপথ বা চ্যানেল ১৪ মিটার গভীরতার উপযোগিতা যাচাই করা হয়েছে।
জানা গেছে, ইন্দোনেশিয়ার তারাহান সমুদ্রবন্দর থেকে ‘অউসো মারো’ জাহাজটি ১৩ এপ্রিল রওনা দিয়ে ২৩ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দর জলসীমায় পৌঁছবে। সেখান থেকে সরাসরি মাতারবাড়ী ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে ভিড়বে জাহাজটি। এর পর থেকে নিয়মিতভাবেই কয়লাবোঝাই জাহাজ আসবে এই জেটিতে।
মাতারবাড়ী বন্দর নির্মাণের প্রাথমিক পরিকল্পনায় প্রথম ধাপে রয়েছে দুটি টার্মিনাল। সাধারণ পণ্যবাহী ও কনটেইনার টার্মিনালে বড় জাহাজ (মাদার ভেসেল) ভিড়তে পারবে, যেটি এখন বাংলাদেশের কোনো বন্দর জেটিতে ভিড়তে পারে না। প্রথম ধাপে বন্দর ও পণ্য পরিবহনের জন্য সড়ক নির্মাণসহ খরচ ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। প্রথম ধাপের কাজ শেষ হতে সময় লাগবে ২০২৬ সাল।